বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘে পর্যালোচনা আজ

প্রকাশিত: ৭:১৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২৩

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘে পর্যালোচনা আজ

অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘে পর্যালোচনা করা হবে আজ সোমবার। আন্তর্জাতিক এই সংগঠনটির মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ বা সর্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। জাতিসংঘের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের ইউরোপীয় সদর দপ্তর জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৪তম ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। গত ৬ নভেম্বর থেকে এই পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশসহ মোট ১৪টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে এই সেশনে।

এর আগে, আরও তিন দফায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ ওয়ার্কিং গ্রুপ। প্রথম দফায় বাংলাদেশ বিষয়ে পর্যালোচনা হয় ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, দ্বিতীয় দফায় পর্যালোচনা হয় ২০১৩ সালের এপ্রিলে এবং তৃতীয় দফা পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের মে মাসে।

সাধারণত জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে মোট ৪৭টি সদস্যদেশ রয়েছে। তারাই এই পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার শুনানি করে থাকেন। এই সদস্যদেশগুলো ছাড়াও জাতিসংঘের যে ১৯৩টি দেশ রয়েছে তাদের সবারই পর্যালোচনা হয়।

যেসব নথির ওপর ভিত্তি করে পর্যালোচনা করা হয় সেগুলো হলো-১. জাতীয় প্রতিবেদন; যা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘকে পাঠায়, ২. স্বাধীন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও গোষ্ঠীর প্রতিবেদনে থাকা তথ্য, বিশেষ প্রক্রিয়া, মানবাধিকার চুক্তি সংস্থা এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিবেদন; এবং ৩. জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা, আঞ্চলিক সংস্থা এবং সুশীল সমাজসহ অন্য অংশীদারদের দেওয়া তথ্য।

জাতিসংঘের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এই পর্যালোচনার সময় বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত থাকবে। বাংলাদেশের মানবাধিকার পর্যালোচনার জন্য র‍্যাপোর্টিয়ার (ত্রয়কা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কিউবা, পাকিস্তান ও রোমানিয়ার প্রতিনিধিরা।

পর্যালোচনা শেষে বাংলাদেশের জন্য কী কী সুপারিশ করা হবে তা ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ ওয়ার্কিং গ্রুপ গ্রহণ করবে আগামী ১৫ নভেম্বর।