প্রকাশিত: ৬:৩০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫
ডেস্ক রিপোর্ট:স্টেথোস্কোপের আবিষ্কার হয়েছিল ১৮১৬ সালে। তখন থেকে চিকিৎসকেরা রোগীর শরীরের ভেতরের শব্দ শোনার কাজে এটি ব্যবহার করছেন। কিন্তু ব্রিটিশ গবেষকেরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত আধুনিক স্টেথোস্কোপ এখন হৃদরোগ নির্ণয়ে নতুন বিপ্লব আনতে চলেছে।
কীভাবে কাজ করে এআই স্টেথোস্কোপ?
১. প্রচলিত ধাতব চেস্টপিসের বদলে এটি একটি ছোট যন্ত্র ব্যবহার করে, আকারে খেলনার তাসের মতো।
২. এতে থাকা মাইক্রোফোন হৃদস্পন্দন ও রক্তপ্রবাহের সূক্ষ্ম পার্থক্য ধরে ফেলে, যা মানুষের কান শুনতে পারে না।
৩. যন্ত্রটি সঙ্গে সঙ্গে ইসিজি রেকর্ড করে।
৪. তথ্য পাঠানো হয় ক্লাউডে, যেখানে এআই সিস্টেম হাজার হাজার রোগীর ডেটা বিশ্লেষণ করে ফলাফল দেয়।
কোন কোন রোগ শনাক্ত হয়
গবেষকেরা বলছেন, এআই স্টেথোস্কোপ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তিন ধরনের গুরুতর হৃদরোগ ধরতে পারে-
১. হার্ট ফেলিওর (ঐবধৎঃ ঋধরষঁৎব)
২. হার্ট ভালভের সমস্যা (ঐবধৎঃ ঠধষাব উরংবধংব)
৩. অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন (অনহড়ৎসধষ ঐবধৎঃ জযুঃযসং)
গবেষণার ফলাফল
ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন ও এনএইচএসের যৌথ গবেষণায় ৯৬টি চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রায় ১২ হাজার রোগীর পরীক্ষা করা হয় এআই স্টেথোস্কোপ দিয়ে। ফলাফলে দেখা যায়-
১. হার্ট ফেলিওর শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে ২.৩৩ গুণ।
২. অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন (স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়) শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে ৩.৫ গুণ।
৩. র্ট ভালভের রোগ ধরা পড়েছে ১.৯ গুণ বেশি।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও কার্ডিওলজিস্ট ড. সোনিয়া বাবু-নারায়ণ বলেন, “২০০ বছর আগে আবিষ্কৃত সাধারণ স্টেথোস্কোপ এখন ২১ শতকের প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে। এ ধরনের উদ্ভাবন খুব জরুরি, কারণ অনেক সময় রোগ কেবল তখনই ধরা পড়ে যখন রোগী জরুরি অবস্থায় হাসপাতালে আসেন।” তিনি বলেন, আগেভাগে রোগ ধরা গেলে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যায়, ফলে রোগী অনেক ভালো থাকতে পারেন।
A Concern Of Positive International Inc
Mahfuzur Rahman Mahfuz Adnan
Published By Positive International Inc, 37-66, 74th Street Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Phone : 9293300588, Email : info.shusomoy@gmail.com,
………………………………………………………………………..
Design and developed by Web Nest