ট্রাম্পের বৈশ্বিক শুল্কের বেশিরভাগই বেআইনি: যুক্তরাষ্ট্রের আপিল আদালত

প্রকাশিত: ৫:১০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২৫

ট্রাম্পের বৈশ্বিক শুল্কের বেশিরভাগই বেআইনি: যুক্তরাষ্ট্রের আপিল আদালত

ডেস্ক রিপোর্ট:যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত বেশিরভাগ বৈশ্বিক শুল্ককে বেআইনি ঘোষণা করেছে আদালত। এতে তার বৈদেশিক নীতি কার্যক্রম বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।শনিবার (৩০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।শুক্রবার দেওয়া ৭-৪ ভোটের রায়ে আদালত জানায়, আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন অনুযায়ী এসব শুল্ক আরোপ বৈধ নয়। রায়ে বলা হয়, এ আইন প্রেসিডেন্টকে সীমাহীন ক্ষমতা দেয় না; শুল্ক আরোপ করার এখতিয়ার কংগ্রেসের হাতে রয়েছে।আদালতের ১২৭ পৃষ্ঠার রায়ে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৭ সালে কংগ্রেস আইনটি পাশ করার সময় প্রেসিডেন্টকে সরাসরি শুল্ক আরোপের ক্ষমতা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না। বিচারপতিরা লিখেছেন, “যখন কংগ্রেস প্রেসিডেন্টকে শুল্ক আরোপের ক্ষমতা দিতে চায়, তখন স্পষ্টভাবে ‘ঃধৎরভভ’ বা ‘ফঁঃু’ শব্দ ব্যবহার করে অথবা আইনের কাঠামোতে তা পরিষ্কার করে উল্লেখ করে।”এই রায় কার্যকর হবে আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে। এর মধ্যে হোয়াইট হাউস চাইলে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবে।

ট্রাম্প রায়ের তীব্র সমালোচনা করে নিজের প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, “এ রায় বহাল থাকলে যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংস হয়ে যাবে। এ শুল্ক উঠিয়ে নিলে দেশ আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।”২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রায় সব দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেন এবং ‘পারস্পরিক’ শুল্কের আওতায় চীন, মেক্সিকো ও কানাডার মতো দেশগুলোর ওপর অতিরিক্ত কর বসান। তিনি সেদিনকে ঘোষণা করেছিলেন আমেরিকার “অন্যায্য বাণিজ্য নীতি থেকে মুক্তির দিন।”তবে নতুন রায়ে কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর আরোপিত শুল্কও বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর বসানো শুল্ক এতে অন্তর্ভুক্ত নয়, কারণ সেগুলো অন্য আইনের আওতায় আনা হয়েছিল।আইনি প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিল ছোট ব্যবসা ও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের দায়ের করা দুটি মামলার মাধ্যমে। মে মাসে নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতও ট্রাম্পের শুল্ককে বেআইনি ঘোষণা করেছিল, তবে আপিল প্রক্রিয়ার জন্য রায় স্থগিত ছিল।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পর এই মামলাটি হতে পারে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার সীমা নির্ধারণের আরেকটি বড় পরীক্ষা। কোর্ট সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রেসিডেন্টদের আইনবহির্ভূত বড় ধরনের নীতি প্রয়োগের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত বেশিরভাগ বৈশ্বিক শুল্ককে বেআইনি ঘোষণা করেছে আদালত। এতে তার বৈদেশিক নীতি কার্যক্রম বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।শুক্রবার দেওয়া ৭-৪ ভোটের রায়ে আদালত জানায়, আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন অনুযায়ী এসব শুল্ক আরোপ বৈধ নয়। রায়ে বলা হয়, এ আইন প্রেসিডেন্টকে সীমাহীন ক্ষমতা দেয় না; শুল্ক আরোপ করার এখতিয়ার কংগ্রেসের হাতে রয়েছে।আদালতের ১২৭ পৃষ্ঠার রায়ে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৭ সালে কংগ্রেস আইনটি পাশ করার সময় প্রেসিডেন্টকে সরাসরি শুল্ক আরোপের ক্ষমতা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না। বিচারপতিরা লিখেছেন, “যখন কংগ্রেস প্রেসিডেন্টকে শুল্ক আরোপের ক্ষমতা দিতে চায়, তখন স্পষ্টভাবে ‘ঃধৎরভভ’ বা ‘ফঁঃু’ শব্দ ব্যবহার করে অথবা আইনের কাঠামোতে তা পরিষ্কার করে উল্লেখ করে।”

এই রায় কার্যকর হবে আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে। এর মধ্যে হোয়াইট হাউস চাইলে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবে।ট্রাম্প রায়ের তীব্র সমালোচনা করে নিজের প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, “এ রায় বহাল থাকলে যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংস হয়ে যাবে। এ শুল্ক উঠিয়ে নিলে দেশ আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।”২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রায় সব দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেন এবং ‘পারস্পরিক’ শুল্কের আওতায় চীন, মেক্সিকো ও কানাডার মতো দেশগুলোর ওপর অতিরিক্ত কর বসান। তিনি সেদিনকে ঘোষণা করেছিলেন আমেরিকার “অন্যায্য বাণিজ্য নীতি থেকে মুক্তির দিন।”তবে নতুন রায়ে কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর আরোপিত শুল্কও বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর বসানো শুল্ক এতে অন্তর্ভুক্ত নয়, কারণ সেগুলো অন্য আইনের আওতায় আনা হয়েছিল।আইনি প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিল ছোট ব্যবসা ও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের দায়ের করা দুটি মামলার মাধ্যমে। মে মাসে নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতও ট্রাম্পের শুল্ককে বেআইনি ঘোষণা করেছিল, তবে আপিল প্রক্রিয়ার জন্য রায় স্থগিত ছিল।আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পর এই মামলাটি হতে পারে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার সীমা নির্ধারণের আরেকটি বড় পরীক্ষা। কোর্ট সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রেসিডেন্টদের আইনবহির্ভূত বড় ধরনের নীতি প্রয়োগের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ