মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত : ট্রাম্প

প্রকাশিত: ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫

মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত : ট্রাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে ‘একতরফা’ বলে সমালোচনা করে জানিয়েছেন, দিল্লি মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে।সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় ট্রাম্প ভারতের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে অসম অর্থনৈতিক সম্পর্ক হিসেবে আখ্যা দেন এবং রাশিয়ার অস্ত্র ও তেল কেনার জন্য ভারতকে দোষারোপ করেন। এতে দুই দেশের সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটল।
ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ‘খুব কম মানুষই বোঝে যে আমরা ভারতের সাথে অল্প ব্যবসা করি। কিন্তু তারা আমাদের সাথে বিপুল ব্যবসা করে। অর্থাৎ, তারা আমাদের কাছে প্রচুর পরিমাণে পণ্য বিক্রি করে, তাদের সবচেয়ে বড় গ্রাহক আমরা। কিন্তু আমরা খুব সামান্যই বিক্রি করি।’ তিনি আরো বলেন, ‘তারা এখন তাদের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। বহু আগেই তাদের তা করা উচিত ছিল।’ ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে ভারত এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে এর আগেও ট্রাম্প প্রায়ই ভিত্তিহীন দাবি করে বলেছেন, উচ্চ শুল্কের হুমকির মুখে অন্যান্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে বিশাল অর্থনৈতিক ছাড় দিতে রাজি হয়েছে।

ভারতকে নিয়ে ট্রাম্পের এটিই সর্বশেষ আক্রমণ। চীনের বাড়তি আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে সংশয়ে থাকা এশিয়ার দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক জোরদারে ভারতকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখত যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যা ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য দেশের ওপর আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্কের মধ্যে একটি। এছাড়া ভারতকে রাশিয়ার তেল কেনার জন্যও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু ভারত ওয়াশিংটনের আরোপিত কঠোর শুল্কের প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সম্প্রতি বলেছেন, ভারত অন্যান্য দেশের সাথে তার অর্থনৈতিক সম্পর্কে ‘নতি স্বীকার করবে না এবং কখনো দুর্বলতা দেখাবে না’।বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাণিজ্য পুনর্গঠনের জন্য ট্রাম্প আগ্রাসী প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি বর্তমান বাণিজ্য ব্যবস্থাকে একতরফা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অন্যায্য বলে বর্ণনা করেছেন। তবে এটি ক্রমবর্ধমান অপ্রত্যাশিত মার্কিন বিকল্প খুঁজতে থাকা অন্যান্য দেশগুলোকে আরো সহযোগিতামূলক সম্পর্কের দিকে ঠেলে দিতে পারে। চীনের বন্দর শহর তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত দুই দিনের সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বলেছেন, তিনি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ