প্রকাশিত: ১:২১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২৫
অনলাইন ডেস্ক:
আজ ‘গৃহস্থালি কাজকে না বলুন’ দিবস। এই দিনে সবাইকে উৎসাহিত করা হয় গৃহস্থালি কাজ থেকে বিরতি নিয়ে নিজের জন্য সময় দেওয়ায়। ১৯৮০–এর দশকে এই দিনটির প্রচলন হয়। দিবসটির সূচনা করেন থমাস এবং রুথ রায়, যারা ওই সময় বিভিন্ন মজার ছুটি তৈরির জন্য পরিচিত ছিলেন।
প্রতিদিনের গৃহস্থালি কাজের চাপে আমরা অনেক সময়ই নিজেদের জন্য সময় বের করতে পারি না। এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে প্রতি বছর ৭ এপ্রিল পালন করা হয় ‘জাতীয় বাসার কাজকে না বলুন’ দিবস।
ঐতিহাসিকভাবে, গৃহস্থালি কাজ প্রধানত নারীদের দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত হতো। ধারণা করা হয় নারীর কাজকে স্বীকৃত দিতেই এই দিবসের প্রচলন। বিশ্বজুড়ে গৃহিণীরা প্রতিদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেন—ঘরের সবার খেয়াল রাখা, রান্না, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বাচ্চাদের যত্ন, এমনকি পরিবারের আর্থিক ব্যবস্থাপনাতেও ভূমিকা রাখেন। অথচ তাঁদের এই শ্রমকে ‘বাসার কাজ’ বলে ছোট করে দেখা হয়, কোনো স্বীকৃতি বা পারিশ্রমিক তো দূরের কথা, অনেক সময় সম্মানটুকুও দেওয়া হয় না।
এর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিই এ দিবসের প্রকৃত কারণ কি না তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বর্তমানে ঘরের কাজকে অবমূল্যায়নের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে পালিত হয় ‘গৃহস্থালি কাজকে না বলুন’ দিবস।
প্রতিবছর এই দিনে গৃহস্থালি শ্রমকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি উঠে আসে বিভিন্ন মহল থেকে। এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য—ঘরের কাজকে অদৃশ্য ও উপেক্ষা যোগ্য শ্রম হিসেবে না দেখে, তা সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মূল্যায়ন করা। কারণ, এই শ্রম ছাড়া কোনো পরিবার, সমাজ বা অর্থনীতি সচল থাকে না।
একজন নারী যখন গৃহিণী হন, তখন তাঁর কাজের সময় নির্দিষ্ট থাকে না। ছুটি নেই, ছুটির দিন নেই, এমনকি অসুস্থ থাকলেও তার ওপর নির্ভর করে চলে পুরো পরিবার। এই শ্রমের কোনো অর্থমূল্য না থাকলেও, এর মূল্য কিন্তু বিশাল। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন গৃহিণী যদি তার প্রতিটি কাজের জন্য পারিশ্রমিক পেতেন, তাহলে তার বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ হতো অনেক করপোরেট চাকরির চেয়েও বেশি।
এই দিনে গৃহস্থালি কাজ থেকে বিরতি নিয়ে নিজের পছন্দের কাজ করতে পারেন। যেমন—
-প্রিয় টিভি শো দেখা: গৃহস্থালি কাজের চিন্তা না করে প্রিয় শো বা সিনেমা দেখে সময় কাটান।
-রান্নায় সৃজনশীলতা: যদি ইচ্ছে হয় তাহলে নতুন কোনো রেসিপি চেষ্টা করুন বা প্রিয় খাবার রান্না করে উপভোগ করুন।
-বাইরে সময় কাটানো: বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে খেতে যান বা পার্কে হাঁটতে বের হন।
‘ঘরের কাজকে না বলুন’ দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, গৃহস্থালি কাজ গুরুত্বপূর্ণ হলেও, নিজেদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া প্রয়োজন। এই দিনে গৃহস্থালি কাজ থেকে মুক্তি নিয়ে নিজের জন্য সময় কাটিয়ে জীবনের আনন্দ উপভোগ করুন, অন্যকেও জীবন উপভোগের সুযোগ করে দিন।
A Concern Of Positive International Inc
Mahfuzur Rahman Mahfuz Adnan
Published By Positive International Inc, 37-66, 74th Street Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Phone : 9293300588, Email : info.shusomoy@gmail.com,
………………………………………………………………………..
Design and developed by Web Nest