দুর্গা পূজায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২৩

দুর্গা পূজায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর পুরান ঢাকায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
শারদীয় দুর্গা উৎসবকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি বা শঙ্কা নেই। তবে কোনো শঙ্কার সৃষ্টি হলে একাধিক উপায়ে যাতে মোকাবিলা করা যায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ২৪৮টি পূজা কেন্দ্রে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করা হবে। কেবল সাতটি পূজা কেন্দ্র ছাড়া বাকি সবগুলো কেন্দ্রেই আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শারদীয় দুর্গা উৎসবে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার সব ধরনের ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।’

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পূজা উপলক্ষে মণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহালয়া থেকে আজ পর্যন্ত এক ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল, আগামীকাল থেকে ৫ দিনব্যাপী অর্থাৎ মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমীতে বিসর্জন পর্যন্ত পুরো সময় ডিএমপি আনসার ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সাদা পোশাকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পূজার আয়োজকদের সঙ্গে একাধিকবার আমাদের মিটিং হয়েছে, আশা করি পূজার দিনগুলো আমরা অন্তত সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হব।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ডিএমপি এলাকায় বৃহত্তম চারটি পূজামণ্ডপ রয়েছে, এরপরের ধাপে ৫টি মণ্ডপ রয়েছে। আমরা সব মণ্ডপকেই গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা মণ্ডপগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ও কম গুরুত্বপূর্ণ ভাগে বিভক্ত করেছি। মাত্র ৭টি মণ্ডপকে কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। প্রধান চারটি মণ্ডপ অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এগুলোতে আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। এছাড়া আাদের বিশেষ টিম থাকবে, প্রত্যেকটি মণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। তবে কিছু মহল ক্ষীণ স্বার্থ হাসিলের জন্য এই সম্প্রীতি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের গুজব বা উসকানি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক সাইবার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। আয়োজকদের প্রতিও অনুরোধ থাকবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের যে কোনো সংবাদ পেলে যেন আমাদের অবহিত করে।’