সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে বিস্ফোরণে তরুণ টেকনিশিয়ানের মৃত্যু

প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২৫

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে বিস্ফোরণে তরুণ টেকনিশিয়ানের মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট:সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিদিনের মতোই কর্মীরা রুটিন কাজ করছিলেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সেই রুটিন হঠাৎই রূপ নেয় এক ভয়াবহ ট্রাজেডিতে। মাত্র ২৩ বছরের তরুণ টেকনিশিয়ান রুম্মান আহমদ কাজে গিয়ে আর বাড়ি ফিরলেন না।বোর্ডিং ব্রিজের সিঁড়ির চাকায় চলছিল মেরামতের কাজ। হঠাৎ বিস্ফোরণ। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে চারপাশ। দুই কর্মী গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন রুম্মান, অন্যজন এনামুল। রক্তাক্ত রুম্মানকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় ওসমানী মেডিক্যালে। সেখানকার আইসিইউতে জায়গা না থাকায় রেফার করা হয় রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যালে। কিন্তু পরিবারের ভাষ্য, সেখানে আইসিইউতে ভর্তি হতে ১০-১৫ মিনিট দেরি হয়। তার আগেই থেমে যায় রুম্মানের হৃদস্পন্দন। বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে হাসপাতালেই মারা যান এই তরুণ।

রুম্মানের বাড়ি সিলেট নগরীর খাদিমনগর ইউনিয়নের লুসাইন গ্রামের সাহেববাজার এলাকায়। বাবা আব্দুল কাদির এক সময় শ্রমজীবী ছিলেন, এখন বৃদ্ধ। স্বপ্ন ছিল ছেলেকে নিয়ে। সেই স্বপ্ন আজ চিরতরে থেমে গেছে।রুম্মানের চাচা আব্দুল কাইয়ুম চোখের জলে বলেন, “আইসিইউটা যদি সময়মতো পেত, হয়তো বাঁচানো যেত। ও তো সকালেও বলেছিল, কাজ শেষ করে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবে।” অপর আহত এনামুলের বাড়ি সিলেটের মহালদিগ গ্রামে। তিনি এখনো ওসমানী মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন, শঙ্কামুক্ত নন। বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি রুটিন মেইনটেন্যান্স কাজ ছিল। আমরা পুরো ঘটনা তদন্ত করছি।”এই দুর্ঘটনায় কোনো উড়োজাহাজ বা স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু হারিয়ে গেছে এক জীবন। আর রেখে গেছে অজস্র প্রশ্ন-যা ঘুরপাক খাচ্ছে পরিবার, সহকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মনে:কেন ছিল না প্রস্তুত আইসিইউ?কেন নিরাপত্তা ছিল না এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে?কেন মারা যেতে হলো মাত্র ২৩ বছরের এক তরুণকে? একটি বিস্ফোরণ শুধু একটি চাকা নয়, ভেঙে দিয়েছে একটি পরিবার, নিভিয়ে দিয়েছে একটি ভবিষ্যৎ।
Desk: K

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ