আন্দোলন ছিনতাই করেছে সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীরা—অভিযোগ জেন-জি’র

প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫

আন্দোলন ছিনতাই করেছে সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীরা—অভিযোগ জেন-জি’র

ডেস্ক রিপোর্ট: আন্দোলন ও বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া জেন-জি গোষ্ঠীগুলো ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন। তারা বলেন, এখন আন্দোলন ‘সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীরা ছিনতাই করেছে’।জেন-জিদের আন্দোলনের একপর্যায়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এব পরে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেন। এরপরও সেখানে এখনো ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ চলেছে। তাই অনেক বিক্ষোভকারী এখনকার আন্দোলন ‘অনুপ্রবেশকারীরা’ পরিচালনা করছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
নেপালে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তরুণদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১২ বছর বয়সী একজন শিশুও রয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবারের বিক্ষোভ নেপালের জেন-জিদের আয়োজিত। এটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পরিচালিত হয়েছিল। তা ছিল জবাবদিহি, স্বচ্ছতা ও দুর্নীতির অবসান। তাদের আন্দোলন অহিংস ছিল এবং শান্তিপূর্ণ নাগরিক সম্পৃক্ততার নীতিতে প্রোথিত।তারা(বিক্ষোভকারী) পরিস্থিতি ‘দায়িত্বের সঙ্গে পরিচালনা’, নাগরিকদের সুরক্ষা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় সক্রিয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন।বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে আর কোনো বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেই জানিয়ে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী ও পুলিশ কারফিউ বাস্তবায়ন করতে পারে। নেপালের সেনাবাহিনীও অভিযোগ করেছে, বিভিন্ন ‘ব্যক্তি এবং নৈরাজ্যবাদী গোষ্ঠী’ অনুপ্রবেশ করে ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করছে।

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুসহ সারা দেশে চলা অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা বন্ধে সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে। দেশটির রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌডেল ও সেনাবাহিনী পৃথকভাবে আলোচনা করার আহ্বান জানানোর পর জেন-জি প্রতিনিধিরা সেনাপ্রধান অশোকরাজ সিগদেলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন।
আলোচনায় শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অস্থায়ী সরকার গঠন ও আন্দোলনের দাবি নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে মঙ্গলবার জেন-জিদের বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগে পদত্যাগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং পাশাপাশি দুর্নীতি মোকাবিলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন হাজারো তরুণ-তরুণী।

গত সোমবার গভীর রাতে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করার পরও কাঠমান্ডু ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়সহ বহু স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়েছে। এর আগে শত শত বিক্ষোভকারী দেশটির সংসদ ভবনে ঢ়ুকে আগুন ধরিয়ে দেয়।বুধবার সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করে, গুরুতর ক্ষতির কারণে বিচারাধীন মামলার সব শুনানি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। যদিও আন্দোলনকারীরা দাবি করছে, ভাঙচুর ও সহিংসতায় তাদের সম্পৃক্ততা নেই। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই দাবি আদায় করতে চান তারা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ