প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৩
ক্রীড়া ডেস্ক:
রানরেটে এগিয়ে থাকার পরও বাংলাদেশের ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলার নিশ্চয়তা ঝুলে ছিল একটা ‘যদি’এর ওপর। প্রায় অসম্ভব হলেও একটা অনিশ্চয়তা ছিল, যদি বেঙ্গালুরুতে ভারতকে হারিয়ে কোনো অঘটন ঘটিয়ে দেয় নেদারল্যান্ডস।
নিজেদের যতটুকু করার ছিল ততটুকু করে দেশে চলে এসেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশে বসে নিশ্চয়ই টিভি পর্দায় নজর রেখেছিলেন বেঙ্গালুরুতে ভারত-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের দিকে। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা তো বটেই, বিশ্বকাপের গুরুত্বহীন এক ম্যাচ ‘মহাগুরুত্বপূর্ণ’ হয়ে উঠেছিল লাল-সবুজ সমর্থকদের জন্যও। সবার চাওয়া ছিল এক, ভারতের জয়।
বিশ্বকাপে দুর্দমনীয় ভারত অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে খেলবে, যারা এমন বাজি ধরেছিলেন হয়েছে তাদেরই। সঙ্গে সব শঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি সমর্থকদেরও। বেঙ্গালুরুতে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ভারতের ১৬০ রানের বিশাল জয়ে পয়েন্ট টেবিলের আটে থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। ৯ ম্যাচের সব জিতে অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে গেল ভারত।
ভারতের জয়ে ১০ দলের ভেতর আটে থাকা নিশ্চিত হয়েছে সাকিব আল হাসানদের। তলানিতে থাকায় শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস বাদ পড়ল ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে। দুই দলই বিশ্বকাপে এসেছিল বাছাইপর্ব খেলে।
অবশ্য বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে গেছে প্রথম ইনিংসে ভারত ৪ উইকেটে ৪১০ রান তোলার পরপরই। স্বাগতিক ভারতের জন্য নেদারল্যান্ডস ম্যাচটা ছিল নিয়মরক্ষার। ফুরফুরে মেজাজে আগামী পরশু মুম্বাইয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালের পোশাকি মহড়া সেরেছেন রোহিত শর্মারা। ডাচ বোলারদের মন খুলে পিটিয়েছেন ভারতের সব ব্যাটারই। প্রথম পাঁচ ব্যাটারের সবাই ফিফটি পেয়েছেন। ফিফটিকে সেঞ্চুরি পর্যন্ত টেনেছেন শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল।
মাত্র ৭১ বলের উদ্বোধনী জুটিতে ভারত রান তুলেছে ১০০ রান। শুবমন গিলের সঙ্গে রোহিতের ওপেনিং জুটি ভাঙে ১১.৫ ওভারে, দলের স্কোরবোর্ডে তখন জমা পড়েছে ১০০ রান। এ বছর দুজনের এটি সর্বোচ্চ পঞ্চম শততম ওপেনিং জুটি। ৩২ বলে ৫১ রানে পল ফন মিকেরেনের বলে ফেরেন গিল। তার সঙ্গে আর ২৯ রান যোগ হতেই বিদায় নেন রোহিত। তার আগেই করেন দুটি অনন্য রেকর্ড। এবি ডি ভিলিয়ার্সকে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ৬০টি ছয় হাঁকানোর কীর্তি গড়েন রোহিত। ২০১৫ সালে ডি ভিলিয়ার্স ৫৮টি ছয় মেরেছিলেন। ডাচদের বিপক্ষে ৫৪ বলে ৬১ রান করার পথে ২ ছয়ে সেটি ছাড়িয়ে যান রোহিত। ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্য সর্বোচ্চ ৫০৩ রানও এখন রোহিতের। দুই ওপেনারের পর ৫৬ বলে ৫১ রানে ফেরেন বিরাট কোহলিও।
এমন রেকর্ডের ম্যাচে অবশেষে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন শ্রেয়াস আইয়ার। বিরাট কোহলি (৫১) বোল্ড হওয়ার পর চতুর্থ উইকেটে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ১২৮ বলে ২০৮ রানের জুটি গড়েন আইয়ার। আগের দুই ম্যাচে কাছে গিয়েও তিন অঙ্কের দেখা পাননি তিনি। এবার অপরাজিত থাকলেন ৯৪ বলে ১২৮ রানে। আইয়ারের ইনিংসে ছিল ১০ চার ও ৫ ছয়। আক্ষেপ মুছে এ বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন রাহুলও। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ছয় মেরে সেঞ্চুরির উদ্যাপন তাঁর। ৬২ বলে আসে রাহুলের সেঞ্চুরি, এটি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি।
জিততে হলে বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়তে হতো ডাচদের। বিশ্বকাপের সেরা বোলিং লাইনআপকে পিটিয়ে নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা ম্যাচ জেতানোর সাহস করেননি। চেষ্টা করেছেন শুধু হারের ব্যবধান কমানোর। ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন তেজা নিদামানুরু।
ডাচদের বিপক্ষে বোলিং করেছেন ভারতের ৯ ক্রিকেটার। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন জসপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, কুলদ্বীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিও। নিদামানুরুর উইকেট নিয়ে ১১ বছর ওয়ানডেতে উইকেট পেয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত। ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের উইকেট নিয়ে ২০১৪ সালের পর উইকেট পেয়েছেন কোহলিও।
A Concern Of Positive International Inc
Mahfuzur Rahman Mahfuz Adnan
Published By Positive International Inc, 37-66, 74th Street Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Phone : 9293300588, Email : info.shusomoy@gmail.com,
………………………………………………………………………..
Design and developed by Web Nest