প্রকাশিত: ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৩
ক্রীড়া ডেস্ক:
৮ ম্যাচের ৮ টিতে জিতে প্রথম রাউন্ডের শীর্ষে থেকেই ২০২৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো ক্রিকেটীয় পরাশক্তিরা ভারতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং-তিন বিভাগেই তারা অনবদ্য।
এবারের বিশ্বকাপে ভারতের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) অবদান দেখছেন অনেকেই। অর্থের ঝনঝনানিতে পূর্ণ এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ভারতে চলে প্রায় দুই মাস ধরে। ভারতের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে হয় বলে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজা, মোহাম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাদের মাঠগুলোর কন্ডিশন সম্পর্কে ভালো ধারণা হয়ে যায়। মারমার কাটকাট ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং কৌশলও শিখে ফেলা যায় ভালোভাবেই। যেখানে এবারের বিশ্বকাপে রোহিত ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে। জাদেজাও শেষের দিকে ব্যাটিং করে ঝড় তুলছেন। পাশাপাশি বোলিং, ফিল্ডিংয়েও অবদান রাখছেন তিনি। বুমরা, শামিরা দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরুতে ও ডেথ ওভারে উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের রান আটকে দিচ্ছেন।
আইপিএলে অনেক বছর খেলার কারণেই রোহিত, কোহলি, জাদেজারা এবার দারুণ ছন্দে আছেন, সেটা তাঁদের পারফরম্যানস দেখলেই বুঝতে পারার কথা। তবে সৌরভ গাঙ্গুলীর মতে, এক আইপিএল দিয়েই খেলোয়াড়দের পারফরম্যানস মূল্যায়ন করা যায় না। ৪ দিন, ৫ দিনের ক্রিকেট খেললেই ক্রিকেটারদের দক্ষতা বোঝা যায় বলে মনে করেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সাবেক সভাপতি। ভারতে প্রায় ১০০ বছর ধরে চলা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অনেক তারকা ক্রিকেটার উঠে এসেছেন। ২০১৫-১৬ রঞ্জিতে ১৩২১ রান করে সেই মৌসুমে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন শ্রেয়াস আয়ার। আয়ার এবারের টুর্নামেন্টের শুরুতে ছন্দে না থাকলেও শেষের দিকে এসে ধারাবাহিকভাবে রান করছেন। পাকিস্তানের ‘এ স্পোর্টসে’ সৌরভ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত সফল হওয়ার একমাত্র কারণ আইপিএল নয়। শুধু আইপিএল থেকেই খেলোয়াড়দের গুণাগুণ বিচার হয় না। চার দিন, পাঁচ দিনের ক্রিকেট খেললে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স বোঝা যায়। আপনি যত বেশি টি-টোয়েন্টি খেলবেন, মাঝারি মানের ক্রিকেটার হবেন। সবসময় বলি যে টি-টোয়েন্টি খেলে অনেক টাকা আয় করা যায়। তবে খেলোয়াড় হতে হলে ৪,৫ দিনের ক্রিকেট খেলতে হবে।’
২০২০-২১ মৌসুম পর্যন্ত রঞ্জি ট্রফিতে একাদশে থাকা ক্রিকেটাররা প্রতিদিন আয় করতেন ৩৫ হাজার ভারতীয় রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৬ হাজার টাকা)। আর রিজার্ভ বেঞ্চে থাকা ক্রিকেটাররা উপার্জন করতেন দিন প্রতি সাড়ে ১৭ হাজার ভারতীয় রুপি (বাংলাদেশি ২৩ হাজার টাকা)। এরপর ২০২১-২২ মৌসুম থেকে একাদশে থাকা ক্রিকেটাররা পাচ্ছেন প্রতিদিন ৬০ হাজার রুপি (৭৯ হাজার টাকা)। আর একাদশের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা প্রতিদিন ৩০ হাজার রুপি (৩৯ হাজার ৫০০ টাকা) আয় করছেন। এমন বেতন বাড়ানোর কারণেই ক্রিকেটাররা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আগ্রহী বলে মনে করেন সৌরভ। ভারতের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অবিশ্বাস্যভাবে বেতন বেড়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ক্রিকেটাররা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকে। এরপর ২ মাস আইপিএল খেলে। এই সিস্টেমে চলার কারণেই দলটা এত দারুণ খেলছে।’
A Concern Of Positive International Inc
Mahfuzur Rahman Mahfuz Adnan
Published By Positive International Inc, 37-66, 74th Street Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Phone : 9293300588, Email : info.shusomoy@gmail.com,
………………………………………………………………………..
Design and developed by Web Nest