যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবতরণ বোয়িং বিমানের

প্রকাশিত: ৬:৪৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবতরণ বোয়িং বিমানের

ডেস্ক রিপোর্ট: আমেদাবাদের পরে যুক্তরাষ্ট্র। এবার সেখানেও বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের বিমানে দেখা দেয় বিপত্তি। ভারতের আমেদাবাদের মতোই, এ বারেও টেক-অফের পরেই ইঞ্জিন বিকল হয়। তবে, দু’টি নয়, একটি। আর ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার সময়ে বিমানের উচ্চতা ছিল পাঁচ হাজার ফুট।১২ জুন আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক যাওয়ার পথে এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার টেক–অফ করার পরে মাত্র ৪৩০ ফুট পর্যন্ত উঠতে পেরেছিল। মাত্র ওই উচ্চতায় তার দু’টি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। কাছের বিজে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হস্টেলে ভেঙে পড়ে সেটি। মারা যান প্রায় ২৭০ জন। কিন্তু আমেরিকায় ওই বিমানের পাইলটের তৎপরতায় বেঁচে গিয়েছে যাত্রীদের জীবন। আর ২৫ জুলাই, আমেরিকার ওয়াশিংটনের ডালাস বিমানবন্দর থেকে জার্মানির মিউনিখ যাওয়ার জন্য উড়েছিল ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স-এর বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান। সেই বিমান যখন মাটি থেকে পাঁচ হাজার ফুট উপরে, তখনই বিকল হয়ে যায় তার বাঁ দিকের ইঞ্জিন। বিপদ বুঝে পাইলট ‘মে-ডে’ কল করেন।

সমুদ্রে ও আকাশে সমস্যায় পড়লে এই ‘মে-ডে’ কল-কেই চূড়ান্ত বিপদ সঙ্কেত বলে মনে করা হয়। ঠিক যেমন ১২ জুন করেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটও। কিন্তু, সে দিন আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি আমেদাবাদের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ‘মে-ডে’ কল শুনে ডালাস বিমানবন্দরের এটিসির সঙ্গে কথা হয় পাইলটের। ঠিক হয় ফ্লাইট ইউএ-১০৮ ফিরে আসবে ডালাসে। কিন্তু, তার আগে আকাশে ফেলে আসবে জ্বালানি।১২ জুন যখন এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার ভেঙে পড়ে, তখন বিস্ফোরণের পরে ভয়ঙ্কর আগুন ধরে যায়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সবে টেক–অফ করা বিমানে ছিল পেটভর্তি জ্বালানি। অত জ্বালানি থাকার কারণেই ভয়াবহ চেহারা নেয় আগুন এবং এত বেশি প্রাণহানি হয়। এই কারণেই, কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য আকাশে ইমারজেন্সি হলে, বিমানকে জরুরি ভিত্তিতে বিমানবন্দরে নামতে হলে, আকাশে জ্বালানি ফেলে নেমে আসে বিমান। ল্যান্ডিংয়ের পরে বিস্ফোরণ হলেও যাতে কোনও ভাবে আগুন ভয়াবহ চেহারা নিতে না পারে।
Desk: K