প্রকাশিত: ৬:৪৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে অন্যতম উপকারী খাবার কিশমিশ। বিভিন্ন রান্নায় কিশমিশ ব্যবহার করা হয়। কিশমিশের গুণাগুণ অনেকেরই অজানা। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় খুব উপকারী কিশমিশ। এতে ভালো মাত্রায় পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকায় অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি শরীরের টক্সিন অপসারণের পাশাপাশি আর্থ্রাইটিস, কিডনিতে পাথর এবং হৃদরোগের মতো জটিল রোগও দূর করে।
যারা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন তাদের জন্য খুব উপকারী। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকায় শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কিশমিশ খেলে তা পেট ভালো রাখে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, রান্নায় দিয়ে কিংবা শুধু খাওয়ার বদলে কিশমিশ ভিজিয়ে খেতে পারলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। ভিজিয়ে খাচ্ছেন না মানেই যে কোনো সুফল নেই, বিষয়টি তেমন নয়। তবে ভিজিয়ে খেলে বাড়তি কিছু উপকার পাওয়া যায়। সেগুলি কী? আয়রনের খুব ভালো উৎস কিশমিশ।
বিশেষ করে ভেজানো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই আয়রনের অভাবজনিত রোগ অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে কিশমিশ। সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমশক্তি জরুরি। এক্ষেত্রে কিসমিস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেই কিশমিশ খান। নিজেই তারপর তফাত খেয়াল করুন। দিন পনেরো পরেই ফলাফল বুঝতে পারবেন। কিশমিশে ভালো মাত্রায় পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আর এ উপাদানগুলো অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এগুলো সিস্টেম থেকে টক্সিন অপসারণের পাশাপাশি গাউট, আর্থ্রাইটিস, কিডনিতে পাথর এবং হৃদরোগের মতো জটিল রোগ প্রতিরোধেও অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভেজানো কিশমিশের জুড়ি নেই। তাছাড়া কিশমিশে রয়েছে পটাশিয়ামের মতো খনিজ, যা হৃৎপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিশমিশ ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাবার। বিশেষ করে ভেজানো কিশমিশ ক্যালশিয়ামের খুব ভালো উৎস। এ কারণে হাড়ের যত্ন নিতে কিশমিশের উপর ভরসা রাখতে পারেন। কিশমিশ খেলে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়। নিয়মিত কিছু পরিমাণে কিশমিশ খেলে তা পেট ভালো রাখদতে সহায়তা করতে পারে। এতে ভালো পরিমানে ফাইবার থাকার কারণে তা পানির উপস্থিতিতে ফুলে উঠতে শুরু করে আর পেটে রেচক প্রভাব দেয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
কিশমিশে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যাও প্রতিরোধ করে। ত্বকের কোষকে যেকোনো ক্ষতি থেকে রক্ষা করেতে অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে কিশমিশ। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ, কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের ক্ষতি থেকে ফ্রি র্যাডিকেলগুলোকে বাধা দেয়। এর ফলে এটি বলি, সূক্ষ্ম রেখা ও ত্বকে দাগ দেখা দেওয়ার সমস্যাসহ বার্ধক্যের লক্ষণ অনেকটা বিলম্ব করতে সহায়তা করে।
A Concern Of Positive International Inc
Mahfuzur Rahman Mahfuz Adnan
Published By Positive International Inc, 37-66, 74th Street Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Phone : 9293300588, Email : info.shusomoy@gmail.com,
………………………………………………………………………..
Design and developed by Web Nest