আত্মবিশ্বাসী হারমানপ্রীত, সতর্ক অ্যালিসা হিলি

প্রকাশিত: ৫:৫২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫

আত্মবিশ্বাসী হারমানপ্রীত, সতর্ক অ্যালিসা হিলি

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ভারতীয় ও অস্ট্রেলীয় দুই অধিনায়কের বক্তব্য বিশ্ব ক্রিকেট মহলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে হোঁচট খেলেও ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর এবার আশাবাদী, দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে দল নতুন ইতিহাস গড়বে। অন্যদিকে রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি সতর্ক করে দিয়েছেন, শিরোপা ধরে রাখা সহজ নয়, তবে আত্মতুষ্টি অস্ট্রেলিয়ান সংস্কৃতির অংশ নয়। বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত অধিনায়কদের বৈঠকে হারমানপ্রীত বলেন, “এশিয়া কাপ ২০২৪, কমনওয়েলথ গেমস ২০২২ কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২০—সব জায়গাতেই আমরা ফাইনালে হেরেছি। কিন্তু এই অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের পরিণত করেছে। আশা করছি এবারের ফাইনালে আমরা অন্য পাশে থাকব।” তিনি যোগ করেন, “দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা, তার ওপর আবার ঘরের মাঠে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়া—এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য অনুভূতি। তবে আমরা চাপ নিতে চাই না, বরং খেলাটা উপভোগ করতে চাই।”

এটি হবে হারমানপ্রীতের পঞ্চম ওয়ানডে বিশ্বকাপ, তবে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম। ২০২৫ সালে ভারতের পারফরম্যান্সও ইতিবাচক—এখন পর্যন্ত ১৪ ওয়ানডের মধ্যে ১০টিতেই জয় এসেছে। বিশেষ করে স্মৃতি মন্ধানা একাই করেছেন ৯২৮ রান, যা চলতি বছরের যেকোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ।অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি বলেন, “আমাদের সংস্কৃতিতে আত্মতুষ্টি নেই। সবাই মনে করছে এবার সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্বকাপ হবে। শিরোপা ধরে রাখা সহজ নয়, তবে আমরা প্রতিদিন নিজেদের উন্নত করতে চাই। মাঠে নেমে সর্বোচ্চ লড়াইটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

২০২৪ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া খেলেছে ১৮টি ওয়ানডে, যেখানে মাত্র দুই ম্যাচে হেরেছে তারা। এর মধ্যে চলতি মাসেই ভারতের মাটিতে সিরিজ জয়ও পেয়েছে। তবুও হিলি মনে করেন, শিরোপা নির্ভর করবে চাপ সামলানোর দক্ষতার ওপর। তার ভাষায়, “পরিস্থিতি বদলাবে, চ্যালেঞ্জ আসবে। যে দলটা দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক দৃঢ়তা ধরে রাখতে পারবে, তারাই সাফল্য পাবে।”বিবিসি জানিয়েছে, ১২ বছর পর আবার ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এ কারণে আয়োজক দেশ হিসেবে ভারতের জন্য এই টুর্নামেন্ট এক বিশেষ আবেগের। অন্যদিকে, রেকর্ড সমৃদ্ধ অস্ট্রেলিয়া দল নতুন প্রজন্ম নিয়ে নামছে ইতিহাস ধরে রাখার মিশনে।