কার্গো ও তেল ট্যাংকারের সংঘর্ষ, যুক্তরাজ্যের উপকূলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২৫

কার্গো ও তেল ট্যাংকারের সংঘর্ষ, যুক্তরাজ্যের উপকূলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক:

যুক্তরাজ্যের উত্তর-পূর্ব উপকূলে একটি কার্গো জাহাজের সঙ্গে একটি তেলবাহী ট্যাংকারের সংঘর্ষের ফলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পরপরই ব্রিটিশ কোস্টগার্ড জরুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।কোস্টগার্ড জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে একটি হেলিকপ্টার, অসংখ্য লাইফবোট এবং অগ্নিনির্বাপক সুবিধাযুক্ত জাহাজ পাঠিয়েছে।

ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আগুনে জ্বলতে থাকা একটি জাহাজ থেকে ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউশন (আরএনএলআই) জানিয়েছে, তারা চারটি লাইফবোট দল ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। জাহাজ দুটির সংঘর্ষের পর অনেক মানুষ জাহাজ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে আগুনে আটকা পড়েছিলেন।

কাছাকাছি গ্রিমসবি ইস্ট বন্দরের প্রধান নির্বাহী মার্টিন বয়ার্স জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৩২ জনকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে প্রস্তুত থাকা অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।

জাহাজ ট্র্যাকিং টুল ভেসেলফাইন্ডার-এর তথ্য অনুসারে, সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি জাহাজের একটি হলো—যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাবাহী তেলবাহী ট্যাংকার ‘স্টেমা ইমাকিউলেট’ এবং অন্যটি পর্তুগালের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল মাদেইরার পতাকাবাহী ‘সলোং’ নামে একটি কন্টেইনার জাহাজ।

সোমবার রাতে বিবিসি জানিয়েছে, সলোং জাহাজটি রোববার সন্ধ্যায় স্কটল্যান্ডের গ্র্যাঞ্জমাউথ বন্দর থেকে রওনা হয়ে নেদারল্যান্ডসের রটারডামের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় এটি হাল উপকূলে নোঙর করা স্টেনা ইমাকিউলেট জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।

সংঘর্ষের সঠিক কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। গ্রিমসবি বন্দরের প্রধান নির্বাহী মার্টিন বয়ার্স বলেছেন, ‘এটি রহস্যজনক। কারণ আধুনিক জাহাজগুলোতে অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে, যা তাদের গতিপথ নির্ধারণ এবং যে কোনো বাধা এড়িয়ে চলতে সাহায্য করে। এই দুর্ঘটনা কখনোই ঘটার কথা ছিল না।’

স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৮ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিট) এই সংঘর্ষের বিষয়ে প্রথম সতর্ক সংকেত পায় যুক্তরাজ্যের কোস্টগার্ড।

আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত এবং বর্তমানে অগ্নি নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার অভিযানকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ