টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিককে উদ্ধার কিছুক্ষণের মধ্যে

প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২৩

টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিককে উদ্ধার কিছুক্ষণের মধ্যে

অনলাইন ডেস্ক:

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভারতের উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা টানেলে আটকা পড়া ৪১ শ্রমিককে মুক্ত করা সম্ভব হবে। ১৭ দিন ধরে চেষ্টার পর অবশেষে তাঁদের উদ্ধারে পাইপ বসাতে সক্ষম হয়েছে উদ্ধারকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার ভারতের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানান।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উদ্ধারকারী দল শেষ কয়েক মিটার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করে ফেলেছে। প্রায় ৬০ মিটার খনন করে পাইপ স্থাপনের মাধ্যমে উদ্ধারের পথ তৈরি করতে হাইটেক যন্ত্র ও অগার মেশিন ব্যবহার করা হলেও সেগুলো মাঝপথেই অকেজো হয়ে পড়ে। অগার মেশিন ব্যর্থ হওয়ার পর ইঁদুরের গর্ত তৈরির মতো হাতে খনন পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়।

মঙ্গলবার ( ২৮ নভেম্বর ) বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী এক টুইটে বলেন, ‘ঈশ্বরের দয়ায় ও কোটি কোটি দেশবাসীর প্রার্থনায় এবং উদ্ধারকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে শ্রমিকদের উদ্ধার করার জন্য পাইপ স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। শিগগিরই শ্রমিক ভাইদের বের করে আনা হবে।’

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী ও জরুরি চিকিৎসা সেবাদাতারা স্ট্রেচার নিয়ে টানেলের বাইরেই অপেক্ষা করছেন। তাঁরা শ্রমিকদের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে তাঁদের বের করার প্রক্রিয়া শুরু করবেন। টানেলের মুখেই একটা অস্থায়ী মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করে হয়েছে। এখানে তাঁদের পরীক্ষা করা হবে এবং অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়ার আগে প্রয়োজন হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে।

ঘটনাস্থলে প্রত্যেক আটকে থাকা শ্রমিকের জন্য একটি করে অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত আছে। শ্রমিকদের উদ্ধার করার পরই তাঁদের টানেল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে চিন্যালিসর হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য একটি গ্রিন করিডর তৈরি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে অক্সিজেন সেবা, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ওষুধসহ ৪১টি বেড প্রস্তুত করে রাখা আছে।

এর আগে আজ আটকে থাকা শ্রমিকদের স্বজনদের প্রস্তুত হয়ে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। কর্মকর্তারা তাঁদের পোশাক ও ব্যাগ নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেন। প্রতি অ্যাম্বুলেন্সে একজন করে পরিবারের সদস্যকে যেতে দেওয়া হবে।

উদ্ধার প্রক্রিয়ার শেষ ধাপের কাজ কোনো ব্যয়বহুল অগার মেশিন বা ড্রিলার দিয়ে নয় বরং ইঁদুরের গর্ত খোঁড়ার মতো হাতে খনন করে শেষ করা হয়েছে। অবৈজ্ঞানিক ও পরিবেশগত দূষণ বাড়ানোর জন্য এটি ২০১৪ সালে নিষিদ্ধ করা হয়।

এ পর্যন্ত ৬০ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ তৈরি করে ছোট পাইপ প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এর মধ্যে দিয়ে খাবার, পানি ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পর্যবেক্ষণে এ উদ্ধার অভিযান চলছে।