গ্র্যামিতে মনোনয়ন পেল নরেন্দ্র মোদীর গান

প্রকাশিত: ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৩

গ্র্যামিতে মনোনয়ন পেল নরেন্দ্র মোদীর গান

বিনোদন ডেস্ক:

বিশ্ব সংগীতের সবচেয়ে বড় আসর গ্র্যামি আসরে জায়গা পেয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তুলে ধরা একটি গান। ‘অ্যাবানডেন্স অব মিলেটস’ শীর্ষক গানটি ‘বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স’ বিভাগে মনোনীত হয়েছে। এই গানের মিউজিক ভিডিওতে মোদীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

২০২৩ সালকে ‘আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। প্রতিটি রাজ্যেই মিলেট চাষে গুরুত্ব দিয়েছে ভারত সরকারও। সেই লক্ষ্যে গ্র্যামি পুরস্কারজয়ী ফাল্গুনী শাহর সঙ্গে হাত মেলান মোদী। অংশ নেন গানটির ভিডিওতে।

গত জুন মাসে মুক্তি পাওয়া গানটির মূল ভাষা ইংরেজি হলেও, হিন্দি শব্দের ব্যবহারও করা হয়েছে এতে। গত বছর ‘আ কালারফুল ওয়ার্ল্ড’ এর জন্য গ্র্যামি পুরস্কার জিতেছিলেন ফাল্গুনী। এরপরই গ্র্যামি হাতে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি, সেই সময়ই মিলেট নিয়ে গান তৈরির ভাবনা মাথায় আসে তাঁর।

গায়িকা ও গীতিকার ফাল্গুনী শাহ। ছবি: এএফপিগায়িকা ও গীতিকার ফাল্গুনী শাহ। ছবি: এএফপি
বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স ক্যাটাগরিতে ফাল্গুনী, গৌরব ও মোদী ছাড়াও মনোনয়ন পেয়েছেন, আরুজ আফতাব, বিজয় আইয়ার, শাহজাদ ইসমাইলির শ্যাডো ফোর্স, ব্রুনা বয়ের অ্যালোন, ডাভিডো-র ফিল-সহ আরও অজস্র নামীদামি শিল্পীর গান।

মিলেটকে একসময় গরিবের খাবার হিসেবে গণ্য করা হতো। জোয়ার, বাজরা, রাগি প্রভৃতি কয়েকটি ক্ষুদ্র দানাশস্যকে একত্রে মিলেট বলা হয়। পৃথিবীর মধ্যে ভারতেই সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয় হয় এ দানাশস্য।

সাধারণত দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের গরিব অধিবাসীরা খাদ্যশস্য হিসেবেই এ ফসলগুলো বেশি ব্যবহার করে। পাশাপাশি ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের পাহাড়ি রাজ্যগুলোতেও প্রাচীনকাল থেকে মিলেট চাষ হয়ে আসছে। এগুলো থেকে রুটি, ছাতু প্রভৃতি তৈরি করা হয়। সেই সঙ্গে পশুখাদ্য হিসেবেও এ দানাশস্যগুলো ব্যবহার করা হয়।