প্রথম ১১ ওভারে বাউন্ডারি না মারার কারণ জানালেন সৈকত

প্রকাশিত: ৫:৫৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪

প্রথম ১১ ওভারে বাউন্ডারি না মারার কারণ জানালেন সৈকত

ডেস্ক রিপোর্ট: নিয়মিত ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে বিশ্রামে রেখে চট্টগ্রাম
চ্যালেঞ্জার্স হুট করেই ওপেনিং খেলায় সৈকত আলীকে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানের
ইনিংস খেললেও তার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওপেনিং নামা সৈকত শেষ
দিকে গিয়ে ঝড় তুললেও প্রথম ১১ ওভারে কোনও বাউন্ডারি মারেননি। টপ অর্ডার
ব্যাটারের এমন ব্যাটিং দেখাও বিস্ময়ের। মিডল অর্ডার ব্যাটার হয়ে ওপেনিংয়ে তাকে
খেলানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে! যদিও সংবাদ সম্মেলনে সৈকত জানিয়ে গেছেন,
অধিনায়কের গেম প্ল্যানের অংশ হিসেবেই তিনি ওপেনিংয়ে নেমেছেন। তবে প্রথমবার
ওপেনিংয়ে নেমে তার শুরুর ব্যাটিং হতাশার জন্ম দিয়েছে চট্টগ্রোমের ভক্তদের মধ্যে।

শনিবার রংপুর রাইডার্স আগে ব্যাটিং করে ২১১ রানের পাহাড় গড়ে। বড় এই লক্ষ্যে
খেলতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলার কথা! কিন্তু চট্টগ্রামের ব্যাটারদের মধ্যে তেমন
কিছু দেখা যায়নি। উল্টো স্লো ব্যাটিংয়ে রান তাড়ার চাপ বেড়ে গেছে শেষের ব্যাটারদের
কাঁধে। শুরুতে স্লো ব্যাটিং করলেও শেষ দিকে গিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে সৈকত
খেলেছেন ৬৩ রানের ইনিংস।

১১ ওভার পর্যন্ত সৈকতের রান ছিল ২৯ বলে ১৭। ১২তম ওভারে ইমরান তাহিরের
প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান চট্টগ্রামের এই ওপেনার। সেই থেকেই শুরু। বাকি ১৬ বল
খেলে ৪৬ রান তুলে ৬৩ রান করেন সৈকত। শুরুর আর শেষের মধ্যে বিস্তর ফাঁরাক। ধীর
গতির ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সৈকত গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি আজ
প্রথমবার ওপেন করলাম। আমি শুধু একটা মোমেন্টাম খুঁজছিলাম। আর ওই সময় সাকিব
ভাই এবং শেখ মাহেদী হাসান খুব ভালো বোলিং করছিলেন। আমাদের যখন জশ (ব্রাউন)
এবং টম (ব্রুস) দুজন আউট হয়ে যায়, তখন চেষ্টা করেছি অযথা উইকেট ছুড়ে না
আসতে। চেষ্টা করেছি মোমেন্টাম খুঁজতে। যখন ইমরান ভাইকে (ইমরান তাহির) ছয়
মারলাম, তখন আমি ভাবলাম যে আমি মোমেন্টাম পেয়ে গেছি। তখন চেষ্টা করেছি। শুরুর
দিকেও চেষ্টা করেছি।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ