প্রকাশিত: ৩:২৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫
ডেস্ক রিপোর্ট: স্মৃতিশক্তি-সম্পর্কিত রোগ এড়াতে এবং বৃদ্ধ বয়সে সুখী, স্বাধীন জীবনযাপন করতে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। স্মৃতিশক্তি ভালো রাখার জন্য আপনার প্রতিদিনের কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। নিয়মিত সেসব অভ্যাস বজায় রাখলে বয়স বাড়লেও স্মৃতিশক্তি অটুট থাকবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন
নিয়মিত ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং নতুন স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ করে। দ্রুত হাঁটা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, এমনকি প্রতিদিন ৩০ মিনিট যোগব্যায়াম স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ বাড়াতে পারে। বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করেছেন যে, ছয় মিনিটের উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম আলঝাইমার রোগ দূরে রাখে।
২. ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন
ঘুম বিশ্রামের চেয়েও বেশি কিছু। এটি মস্তিষ্ক মেরামতের সময়। যখন আমরা গভীর ঘুমাই, তখন আলঝাইমার রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত বিটা-অ্যামাইলয়েডের মতো বর্জ্য পদার্থ দূর হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের মেজাজ, মনোযোগ এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য দিনে ৭-৮ ঘণ্টা একটানা ঘুমানো উচিত।
৩. শিখতে থাকুন, চ্যালেঞ্জিং থাকুন
আমাদের মস্তিষ্ক নতুনত্ব দ্বারা উদ্দীপ্ত থাকে। একটি নতুন ভাষা, একটি নতুন যন্ত্র, ক্রসওয়ার্ড, এমনকী সফ্টওয়্যার শেখাও স্নায়ু সংযোগ বৃদ্ধি করে। আজীবন শেখার অভ্যাস বুদ্ধিবৃত্তিক অবক্ষয়কে স্থগিত করে যাকে স্নায়ুবিজ্ঞানীরা মস্তিকের রিজার্ভ বলে থাকেন।
৪. মস্তিষ্ক-বান্ধব খাদ্য গ্রহণ করুন
আমাদের খাদ্য সরাসরি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। সবুজ শাক, বাদাম, চর্বিযুক্ত মাছ, অলিভ অয়েল এবং বেরি বয়স-সম্পর্কিত অবক্ষয়কে ধীর করতে পারে। প্যাকেজজাত খাবার এবং পরিশোধিত চিনির ব্যবহার কমিয়ে ফেলা প্রদাহ থেকে রক্ষা করতে পারে যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ধ্বংস করে।
৫. মানসিক চাপ ভালোভাবে সামলান
দীর্ঘস্থায়ী চাপ মস্তিষ্কের বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করে এবং স্মৃতিশক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ধ্যান, মননশীলতা, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস বা জার্নালিং-এর মতো সহজ অনুশীলনগুলো কর্টিসলের মাত্রা কমাতে পারে। এমনকী দিনে দশ মিনিটের মননশীল বিশ্রামও মস্তিষ্কের কোষকে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
৬. সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলুন
ডিমেনশিয়ার নীরব হুমকি হলো একাকীত্ব। অন্যদের সঙ্গে কথোপকথন, পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা অথবা সামাজিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ বুদ্ধিবৃত্তিক এবং মানসিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্কের জন্য তেমনই ভালো, যেমন ব্যায়াম শরীরের জন্য ভালো।
৭. স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন থাকুন
চিকিৎসা না করা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা এবং উচ্চ কোলেস্টেরল বুদ্ধিবৃত্তিক অবক্ষয়কে ত্বরান্বিত করে। তাই যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় চিকিৎসা করানো জরুরি।
A Concern Of Positive International Inc
Mahfuzur Rahman Mahfuz Adnan
Published By Positive International Inc, 37-66, 74th Street Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Phone : 9293300588, Email : info.shusomoy@gmail.com,
………………………………………………………………………..
Design and developed by Web Nest