ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারত: হোয়াইট হাউস

প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারত: হোয়াইট হাউস

ডেস্ক রিপোর্ট: দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলতি বছরের মে মাসে ঘটে যাওয়া তীব্র সংঘাত নিয়ে নতুন তথ্য জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে ওই সংঘাতের অবসান ঘটে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যদি ট্রাম্প হস্তক্ষেপ না করতেন, তবে এই সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারত। বুধবার (২০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড। চলতি বছরের মে মাসে কাশ্মিরের ভারতশাসিত অঞ্চলে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই হিন্দু পর্যটক। ওই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নজিরবিহীন সংঘাত শুরু হয়। দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ চার দিন ধরে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, আর্টিলারি ও বিমান হামলা চালায়। সংঘাতে দুই দেশের অন্তত ৭০ জন প্রাণ হারান। পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ট্রাম্প বাণিজ্যকে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থামিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, মাত্র সাত মাসে বিশ্বব্যাপী সাতটি সংঘাতের সমাধান করেছেন ট্রাম্প। তার মতে, “যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হস্তক্ষেপ না করতেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে গড়াতে পারত।”এই প্রসঙ্গে লেভিট আরও বলেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সম্মানিত বোধ করছেন। সংঘাতের অবসানে ট্রাম্পের প্রভাব এবং শক্তিশালী অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ঘটনার পর পাকিস্তান ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করেছে। ইসলামাবাদের মতে, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনে ট্রাম্পের ভূমিকা এবং কাশ্মির ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাবই তাকে নোবেল মনোনয়নের যোগ্য করেছে। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে বলেছেন, “কোনও বিশ্বনেতা আমাদের সামরিক অভিযান থামাতে বলেননি।”

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ