হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধে ১২ শতাধিক ইসরায়েলি ও ৯৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত: ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২৩

হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধে ১২ শতাধিক ইসরায়েলি ও ৯৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত

নিউজ ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর একটি ভবনে আগুন নেভানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসগাজায় ইসরায়েলি হামলার পর একটি ভবনে আগুন নেভানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
পাঁচ দিন ধরে চলা হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনি ওই ইসরায়েলি মিলে অন্তত ২ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এই যুদ্ধে কেবল ফিলিস্তিনেই আহত হয়েছে অন্তত ৫ হাজার। উভয় পক্ষে নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার মিসাইল ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। যুদ্ধ এরই মধ্যে পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। ইসরায়েল গাজার ২ শতাধিক স্থানে হামলা চালিয়েছে। এই অবস্থায় ইরাকের সশস্ত্র সংগঠন কাতাইব হিজবুল্লাহ বা হিজবুল্লাহ ব্রিগেড, বদর অর্গানাইজেশন ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠন হুথি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম কান জানিয়েছে—হামাসের হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১২ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। গত বুধবার এই সংখ্যা ১ হাজারের কাছাকাছি ছিল। এক দিনের ব্যবধানে আরও ২ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে হামাসের দাবি করা সামরিক অভিযানে।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজায় অন্তত ৯৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২৬০ জনের বেশি শিশু ও ২৩০ জনের বেশি নারী। কেবল বুধবার রাতে গাজা উপত্যকার ২ শতাধিক স্থানে ইসরায়েলের বিমান হামলার কারণে অন্তত ৩০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫ হাজার।

অপরদিকে, ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান গাজার অভ্যন্তরে, গাজা শহরের আশপাশে অন্তত ২০০ স্থানে হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, এসব স্থান থেকেই ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছিল। তবে হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। হামলায় গাজার বেশ কয়েকটি স্কুল, আশ্রয় কেন্দ্র, হাসপাতাল, আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন বেসামরিক স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজা কর্তৃপক্ষ।