চাঁদে পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র গড়ার চিন্তা রাশিয়া, চীনের

প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৪

চাঁদে পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র গড়ার চিন্তা রাশিয়া, চীনের

ডেস্ক রিপোর্ট: রাশিয়া ও চীন ২০৩৩ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে দিকে একটি পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র স্থাপনের কথা বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের প্রধান ইউরি বরিসোভ। এটি একদিন চাঁদে বসতি নির্মাণের সুযোগ করে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাশিয়ার সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিসোভ জানান, রাশিয়া ও চীন একটি চন্দ্র কর্মসূচী নিয়ে যৌথভাবে কাজ করছে আর এক্ষেত্রে মস্কো তার ‘পারমাণবিক মহাকাশ শক্তি’ বিষয়ক অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পেরেছে। তিনি বলেন, “গতকাল আমরা গুরম্নত্ব দিয়ে একটি প্রকল্পের কথা বিবেচনা করছি, আমাদের চীনা সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে চাঁদের পিঠে একটি বিদু্যৎ ইউনিট সরবরাহ ও স্থাপনের কথা- যা ২০৩৩-২০৩৫ সালের দিকে হতে পারে।”তিনি জানান, সৌর প্যানেলগুলো ভবিষ্যতে চন্দ্র বসতিগুলোকে শক্তি যোগানোর মতো পর্যাপ্ত বিদু্যৎ সরবরাহ করতে পারবে না, কিন্তু পারমাণবিক শক্তি পারবে। সম্ভাব্য এই পরিকল্পনা বিষয়ে বরিসোভ বলেন, “এটি খুব গুরম্নতর একটি চ্যালেঞ্জ, মানুষের অনুপস্থিতিতে স্বয়ংক্রিয় প্রণালীতেই এটি করতে হবে।” তিনি রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি মহাকাশযান তৈরির পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, এই প্রকল্পের সঙ্গে সংশিস্নষ্ট সব প্রযুক্তিগত প্রশ্নের সমাধান করা হলেও একটি চ্যালঞ্জ এখনও রয়ে গেছে, সেটি হল কীভাবে পারমাণবিক চুলিস্নটিকে শীতল করা হবে। “আসলে আমরা একটি মহাকাশ টাগবোট নিয়ে কাজ করছি। একটি পারমাণবিক চুলিস্ন ও উচ্চ শক্তির টারবাইন চালিত এই বিশাল, দৈত্যাকৃতি কাঠামোটিকে এক কক্ষপথ থেকে অন্য কক্ষপথে বিপুল পরিমাণ মালামাল পরিবহন করা, মহাশূন্যে ভাসমান ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা ও অন্য আরও অনেক কাজে লাগানো যাবে,” বলেছেন তিনি। রয়টার্স বলছে, রাশিয়ার কর্মকর্তারা এর আগেও চাঁদে খনিজ অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছিলেন, কিন্তু গত কয়েক বছরে রাশিয়ার মহাকাশ কর্মসূচী ধারাবাহিকভাবে বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে। গত বছর ৪৭ বছরের মধ্যে তাদের প্রথম চন্দ্রাভিযান লুনা-২৫ মহাকাশযান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ব্যর্থ হয়। মস্কো জানিয়েছে, তারা চাঁদে আরও অভিযান চালাবে এবং তখন রাশিয়া-চীন যৌথ মানুষ্য মিশনের সম্ভাবনা আর এমনকী চাঁদে ঘাঁটি করার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে। গত মাসে চীন জানিয়েছিল, তারা ২০৩০ সালের আগেই চাঁদে প্রথম চীনা মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে।