বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে মারছে, কিন্তু পশ্চিমারা চুপ: সজীব ওয়াজেদ

প্রকাশিত: ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২৩

বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে মারছে, কিন্তু পশ্চিমারা চুপ: সজীব ওয়াজেদ

অনলাইন ডেস্ক:

বিএনপি আগুন জ্বালাচ্ছে, মানুষ পোড়াচ্ছে। কিন্তু বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল তারা বলবে না। উল্টো আরও স্পেস দিতে হবে, জায়গা দিতে হবে। আরও উৎসাহ দিচ্ছে, বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন রাষ্ট্রদূত—এমনটা মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

সোমবার ( ০৪ ডিসেম্বর ) সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত লেটস টক অনুষ্ঠানের ৫১তম পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘গত তিন নির্বাচনে পর্যালোচনা করে দেখেছি। এদেরকে এভাবে যানবাহনে আগুন দিতে একটি শ্রেণি উৎসাহ দিচ্ছে। বিদেশি বিশেষত ওয়েস্টার্ন রাষ্ট্রদূত, সেখান থেকে। ঠিক নির্বাচনের আগে তারা অতিরিক্ত কথা বলা শুরু করে। এই যে জামায়াত একটি যুদ্ধাপরাধীদের দল, জঙ্গি দল। তাদেরকে জঙ্গি সন্ত্রাসী বলবে না। এ ক্ষেত্রে মানবাধিকারের কোনো চিহ্ন নেই। বিএনপি আগুন জ্বালাচ্ছে, মানুষ পোড়াচ্ছে। কিন্তু বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল তারা বলবে না। উল্টো আরও স্পেস দিতে হবে, জায়গা দিতে হবে—আরও মানুষ পোড়াও, আরও মানুষ মারো। আমি তরুণদের বলব, তারা যেন বিদেশিদের থেকে সাবধান থাকে। তারা চায় বাংলাদেশ যেন গরিব দেশ হয়ে থাকে। তাদের হুকুম মতো চলে।’

জ্বালাও-পোড়াও বন্ধের বিষয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে যদি আমরা জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করতে চাই তাহলে সহজ সমাধান হলো, বিএনপি-জামায়াতকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করে দেন। সেটা যেহেতু সম্ভব নয়, তাই আরেকটা উপায় আছে। সেটা হলো নৌকাকে ভোট দিন। জামায়াতের ভোটার যত কমতে থাকবে, আমাদের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস তত কমতে থাকবে। আপনারা যদি প্রতি নির্বাচনে নৌকাকে ভোট দেন তাহলে এখন যেমন জামায়াত বলে কিছু নাই, ভবিষ্যতে বিএনপি বলেও কিছু থাকবে না। আর সেই দিন বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।’

সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আপনারা যে অনেক সমালোচনা শোনেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে, যেটা এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে পরিণত হয়েছে। এটার মডেল তৈরি করা হয়েছিল ইউরোপিয়ান ১৩টি দেশের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ছিল, যা ইহুদিদের ওপর যেই হলোকাস্ট হয় বা গণহত্যা সেটার ইতিহাস যাতে বিকৃতি না করা যায়। ১৩টি ইউরোপিয়ান দেশে আইন আছে যে ওই ইতিহাস বিকৃতি করা যাবে না। সেটা করলে শাস্তি জেল।’

সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমাদের বিদেশিরা যে সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিরোধিতা করেন যে একটা কথা বললেই কীভাবে জেল-জরিমানা হয়। তাদের নিজেদের দেশেই এই আইন রয়েছে, এই ১৩ দেশে গিয়ে হলোকাস্টের ইতিহাস বিকৃতি করলে আপনাকে জেলে যেতে হবে। এটা তাদের আইন। আমরাও করেছি ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস যদি বিকৃতি করা হয় সেটার সাজা জেল। ফ্রিডম অব স্পিচে কোনো বাধা রাখি নাই।’

দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে তরুণদের সেতুবন্ধন গড়ে দিতে ২০১৪ সাল থেকে ইয়াং বাংলা ‘লেটস টক’ শিরোনামে এ আয়োজন করছে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও আয়োজন করা হয় লেটস টক, যেখানে দেশ নিয়ে তরুণদের ভাবনার কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লেটস টকের ৫১তম পর্বে উপস্থিত হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের বিভিন্ন ভাবনা ও সরকারের উদ্যোগগুলো নিয়ে কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ। সেই সঙ্গে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।