শ্রমিকদের উদ্ধারে বর্তমান পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে সময় লাগবে আরও ৫ দিন

প্রকাশিত: ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২৩

শ্রমিকদের উদ্ধারে বর্তমান পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে সময় লাগবে আরও ৫ দিন

অনলাইন ডেস্ক:

ভারতের উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশি জেলায় টানেল ধসে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের ঘটনা গড়িয়েছে দশম দিনে। সব ঠিক থাকলে, যে পরিকল্পনায় কাজ এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আর মাত্র দুই দিন লাগবে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করে আনতে। তবে কোনো কারণে বর্তমান পরিকল্পনা কাজ না করলে সময় বেশি লাগতে পারে আরও অন্তত ৫ দিন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে শ্রমিকদের টানেলে আটকে থাকতে হবে ১৫ দিন।

ভারত সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব অনুরাগ জৈন বিষয়টি জানিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ১২ নভেম্বর সকালে ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে নির্মাণাধীন টানেলে এই ধসের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই শ্রমিকদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এগিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ৪১ জন শ্রমিকের আতঙ্কিত চেহারা। তারা এখনো জীবিত আছেন। ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে অবস্থিত এই টানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিধসের কারণেই এই টানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

ভারত সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব অনুরাগ জৈন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার জন্য প্রয়োজনীয় অগার মেশিন কাজ করছে। শ্রমিকদের উদ্ধারে এখন পর্যন্ত এটিই আমাদের কাছে সবচেয়ে সেরা উপায়। সে হিসেবে আগামী দুই অথবা আড়াই দিনের মধ্যে অগার মেশিন দিয়ে খোঁড়া সুড়ঙ্গ শ্রমিকদের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।

তবে কোনো কারণে যদি বর্তমান পরিকল্পনায় উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হয় তাহলে আরও পাঁচটি বিকল্প পরিকল্পনা হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন অনুরাগ জৈন। তিনি বলেছেন, তবে এ ক্ষেত্রে সময় কিছুটা বেশি লাগবে। সে ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করে আনতে ১৫ তম দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

অনুরাগ জৈন বলেন, ‘আমরা একই সঙ্গে সবগুলো পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। কোনো একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা কাজ করবে সেই আশায় বসে না থেকে আমরা সবগুলো বিকল্প নিয়েই কাজ করছি। অগার মেশিনের পাশাপাশি আমরা অনুভূমিকভাবে আরও একটি টানেল খোলার চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে আমাদের আরও ১২ থেকে ১৫ দিনের মতো সময় লাগবে।’