আইএমএফের শর্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি : বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে না পাকিস্তান

প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২৪

আইএমএফের শর্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি : বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে না পাকিস্তান

ডেস্ক রিপোর্ট: বড়সড় এক ঘোষণাই দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ঋণ দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ কড়া কিছু শর্ত দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা। কিন্তু সে শর্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ সরকার। পাকিস্তানের বিদ্যুৎ খাতের অপরিশোধ করা ঋণ আইএমএফের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। আবার ঋণের ভার টেনে নেওয়াও সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই অর্থ সংকট কাটাতে আইএমএফের সঙ্গে আরও একটি চুক্তির পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান। রয়টার্স বলছে, চলতি মাসেই ওই চুক্তি হতে পারে। তবে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে শাহবাজ শরীফ জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবরের আগে বিদ্যুতের দাম বাড়াবেন না তারা।গেল বছর আইএমএফের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল পাকিস্তান। এর আওতায় গেল ১২ মাসে কয়েক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। কিন্তু আইএমএফের শর্তের রেশ গিয়ে পড়ে দেশটির দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের ওপর। সে ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা। গেল এপ্রিলে ওই কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হয়।তাই আবারও আইএমএফের দ্বারস্থ হচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু মঙ্গলবার শাহবাজ বলেন, আমরা জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর- এই তিন মাসের জন্য জনগণকে স্বস্তি দিচ্ছি। অক্টোবর মাসে সাধারণত তাপমাত্রা কমে যায়। তখন বিদ্যুতের চাহিদাও কম থাকে। সরকার ওই সময় বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। যাতে করে বিদ্যুতের দাম বাড়লেও মানুষের ওপর চাপ না পড়ে। এক পরিসংখ্যান বলছে, গেল ১৬ বছরের মধ্যে এই প্রথম পাকিস্তানে বিদ্যুতের বার্ষিক ব্যবহার কমে যেতে পারে। এর মূল কারণ, বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়া বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের জন্য পাকিস্তান ১৩ লাখ কোটি রুপি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া দেশটি রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৫ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায়। পাকিস্তানের এমন বাজেট আইএমএফকে খুশি করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সংকটে থাকা অর্থনীতির চাপে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। তাই উচ্চ কর তাদের ক্ষোভ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সুত্র:যায়যায়দিন