পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ পানির নিচে

প্রকাশিত: ৬:২৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২২

পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ পানির নিচে

ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ সম্পূর্ণভাবে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শেরি রেহমান। বিধ্বংসী আকস্মিক এ বন্যায় ভেসে গেছে রাস্তা, বাড়িঘর ও ফসল। ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে দেশটির বেলুচিস্তান, সিন্ধু, পাঞ্জাব (দক্ষিণ) ও খাইবার প্রদেশের বন্যাকবলিত লাখ লাখ মানুষ।

এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বসতবাড়ি ছেড়ে যাচ্ছেন। এ বিপর্যয় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার। এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য হাত বাড়িয়েছে পাকিস্তান।

শেরি রেহমান বলেন, এটি একটি বিশাল সমুদ্র। পানি সেচে ফেরার জন্য কোনো শুকনো জমি নেই। তিনি একে অকল্পনীয় সংকট বলেও উল্লেখ করেন।

এ বছরের জুন মাসে পাকিস্তানে বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত এক দশকের মধ্যে দেশটি এত ভারী বর্ষণ আর দেখেনি। এ বিপর্যয়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছে দেশটির সরকার।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে শেরি রেহমান বলেন, ‘আক্ষরিক অর্থে পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এই মুহূর্তে পানির নিচে। অতীতের প্রতিটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আমরা এর আগে কখনো এ পরিস্থিতি দেখিনি।’

গতকাল সোমবার পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানান, বন্যার কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি বলেছেন, ‘নিহতদের এক-তৃতীয়াংশ শিশু বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আমরা এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে চেষ্টা করছি।’

কর্মকর্তারা ধারণা করছে, তিন কোটি ৩০ লাখের বেশি পাকিস্তানি নাগরিক ভয়াবহ এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দেশটির উত্তরাঞ্চলে সোয়াত উপত্যকায় বন্যায় ব্রিজ ও রাস্তা ভেসে গেছে। পুরো গ্রামগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে হেলিকপ্টারের সাহায্য নিয়েও কর্তৃপক্ষ আটকে পড়া লোকজনের কাছে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে।

গত রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, গ্রামের পর গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। লাখো ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। অনেকে অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। দেশটিতে ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত। দেশের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ বন্যাকবলিত। এবং একে ২০১০-১১ সালের বন্যার সঙ্গে তুলনা করেন শেহবাজ শরীফ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ