কানাডার সামার

প্রকাশিত: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২৪

কানাডার সামার

ডেস্ক রিপোর্ট: কানাডায় সামার শুরু হয়েছে। সবাই ব্যস্ত যার যতটুকু খালি জায়গা আছে সেখানে শাক সবজি ফুলের বাগান করতে। প্রতিবছরের মত এবারও আমার স্ত্রী নানা ধরনের সবজির চারা লাগিয়েছে। লাউ গাছের চারা সবে ডগা ছড়িয়েছিল, এর মধ্যে পুরো গাছ গোঁড়া থেকে সুক্ষভাবে কেটে দিয়ে ওরা পালিয়েছে। এর আগেও একদিন ওরা এই একই অপকর্মটি করে গেছে। আর এসবই করে রাতের অন্ধকারে। আমার স্ত্রীর দুঃখের সীমা নাই। এত কষ্ট করে বিগত দুই মাস ঘরের মধ্যে চারাগুলো যত্ন করে বড় করেছে!

বললাম, দেখ এই বিষয়গুলো কিন্তু বেশ মজার। আমরা যখন স্কুলে পড়তাম, স্যার যখন গম্ভীরভাবে ক্লাস নিচ্ছেন, সকলেই স্যারের লেকচার মনযোগ দিয়ে শুনছে, ঠিক তখনই পেছন থেকে কে যেন মাথার পেছনে দিল একটা খোঁচা। তখন ঠিকই রাগ হতো, আজ ভাবি আহারে ঐটুকু দুষ্টুমি যদি না থাকতো তাহলে ছাত্রজীবন কত বোরিংই না হতো! আকাশে যদি মেঘ না হতো, সারাক্ষণই যদি রৌদ্রজ্জল থাকতো জীবনটা কেমন হতো! পাখীর কিচির মিচির শুনতে আমাদের ভাল লাগে অথচ ভাল কাপড় চোপর পরে প্রখর রৌদ্রে যখন একটু শীতল হতে গাছের নীচে দাড়িয়েছেন তখন ঘটলো বিপত্তি। মাথার উপর ভেজা কি যেন একটা উপর থেকে পড়লো, উপর দিকে তাকাতেই দুষ্ট মিষ্ট হাসি দিয়ে পাখীগুলো উড়ে গেল! আপনার বিরক্তির সীমা নেই। কিন্তু ভাবুনতো, নীল আকাশ, সবুজ গাছ, পাখীর কিচির মিচির ভালবাসবো অথচ পাখীর পু গা’য়ে পড়বে না, গাছের ডাল ভেঙে পড়বে না, নীল আকাশ গাঢ় কালো মেঘে ঢেকে ঝড়ো হাওয়ায় উড়িয়ে নিয়ে যেতে চাইবে না, শান্ত নদী হঠাৎ করেই বড় বড় ঢেউয়ে জীবন মরণের শংকায় ফেলে দিবে না, এরকম পৃথিবী দিয়ে আমরা কি করবো!

স্ত্রীকে বললাম, টেইক ইট ইজি। বাগান যখন করেছো, বাগান দিনের বেলায় তোমার, রাতের বেলায়, স্কোয়ারেল, রাকুন, রাবিট, জন্তু জানোয়ারের। ওরা আসবে! তুমি চাইলে লোহার খোঁচা দিয়ে প্রটেক্ট করে রাখতে পার। তবে ওরা আসে বলেই জীবন এত সুন্দর, বৈচিত্রময়!
স্কারবোরো, কানাডা