২৮-২৯ অক্টোবরের ডিসি-এসপিদের প্রশিক্ষণের সময় পরিবর্তন করেছে ইসি

প্রকাশিত: ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২৩

২৮-২৯ অক্টোবরের ডিসি-এসপিদের প্রশিক্ষণের সময় পরিবর্তন করেছে ইসি

নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি), বিভাগীয় কমিশনারদের দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণের সময় পরিবর্তন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রথম ধাপে গত ১৪ ও ১৫ অক্টোবর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে চার বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক, সিনিয়র ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ধাপে বাকি চার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে ২৮ ও ২৯ অক্টোবর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এই তারিখ পরিবর্তন করে ২ ও ৩ নভেম্বর করা হবে।

ডিসি, এসপিদের প্রশিক্ষণের সময় পরিবর্তনের বিষয়টি শনিবার ইটিআইয়ের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ( ২৮ অক্টোবর ) সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি মহাসমাবেশের করার ঘোষণা দিয়েছে। রাজধানীর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও। সেদিন ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা এসেছে। রাজনৈতিক এমন পরিস্থিতিতে ডিসি এসপিদের কর্মশালার তারিখ পরিবর্তন করল ইসি।

যদিও ইসি থেকে বলা হচ্ছে ৩০ অক্টোবর আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কমিশনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে। সে কারণে ২৮ ও ২৯ অক্টোবরের কর্মশালাটি ২ ও ৩ নভেম্বর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ১ নভেম্বর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

ইসি জানায়, বেশ কিছু আইন ও বিধিমালার সংস্কার হয়েছে। এছাড়া, মাঠের অনেক কর্মকর্তারাও নতুন। তাই নির্বাচনের সামগ্রিক বিষয়ে ধারণা দিতেই মূলত এই কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। সংসদের সাধারণ নির্বাচনে সাধারণত রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে জেলা প্রশাসকেরা।

ইতিমধ্যে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে, যা চলবে পুরো নভেম্বর মাস জুড়ে। তফসিল ঘোষণার পর মাঠপর্যায়ে গিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার) প্রশিক্ষণ দেবেন। এছাড়া শুরু হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে ১ নভেম্বর। সংবিধান অনুযায়ী, ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে জানুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যে তফসিল এবং জানুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।