১০ অঞ্চলে ব্যালট বাক্স পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু

প্রকাশিত: ১০:২০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২৩

১০ অঞ্চলে ব্যালট বাক্স পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু

নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠপর্যায়ের দশটি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে ব্যালট বাক্স পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বৃহস্পতিবার ( ১৯ অক্টোবর ) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান।

ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘৩ লাখের ওপরে ব্যালট বাক্স লাগবে। পুরোনো আছে ২ লাখ ৬৭ হাজার। এবার আমরা ৮০ হাজার কিনেছি। কেনাগুলোর মধ্য থেকে ৪০ হাজার পেয়েছি।’

ইসির অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, প্রতিটি মালামাল পাওয়ার পর টেস্ট করা হবে। এই টেস্টে কোয়ালিফাই করলে মাঠপর্যায়ে পাঠানো হবে। স্যাম্পল যেহেতু বিএসটিআই টেস্ট করেছে, এবারও এটি বিএসটিআই করবে।’

অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘আজকে টেস্ট হয়ে গেছে (ব্যালট বাক্সের), টেস্ট রিপোর্ট আসলেই পাঠিয়ে দেব। আজকে টেস্টের রিপোর্ট পেলে ব্যালট বাক্স আজকে শুধু ঢাকা অঞ্চলে যাবে। ঢাকা ও আমাদের মাঠপর্যায়ের অফিসে। তারপর ধাপে ধাপে অন্যান্য অঞ্চলে পাঠানো হবে।’

আজকে থেকে মাঠপর্যায়ে মালামাল যাওয়া শুরু হচ্ছে বলা যেতে পারে—জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘টেস্ট রিপোর্ট পেলে শুধু ব্যালট বাক্স, অন্য মালামাল নয়। অন্য মালামাল এখনো দেওয়া শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে।’

মাঠপর্যায়ে পাঠানো নির্বাচনী সরঞ্জামগুলোর মধ্যে কী কী আছে—জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘ব্যালট বাক্স, ব্যালট বাক্সের ঢাকনা, দুই ধরনের ব্যাগ, গালা আছে। শুধু স্ট্যাম্প প্যাড আমরা এখনো পাইনি। আপনারা জানেন যে, তিনবার টেন্ডার দেওয়ার পরেও কেনা যায়নি। এখন দেওয়া হয়েছে, নভেম্বরের ১৫ তারিখের পরে পাব এটি। বাকি মালামাল আমরা আশা করি ধাপে ধাপে পাঠিয়ে দেব।’

মালামাল মাঠপর্যায়ে পাঠানোর সময় নিরাপত্তার বিষয়ে অশোক কুমার বলেন, নিরাপত্তা অন্যবারের মতো। যখন মালামাল যায়, তখন আমরা পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাই। ওইভাবে নিরাপত্তা দিয়ে মাঠপর্যায়ে পাঠিয়ে দেব। নিরাপত্তার জন্য বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নাই। আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর। আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকেই সহযোগিতা চাইব। মালামালগুলো মাঠপর্যায়ে পরিবহনের সময় তারা যথাযথ নিরাপত্তা দেবে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার বলেন, আটটি প্রশাসনিক বিভাগ এবং ফরিদপুর ও কুমিল্লা অঞ্চল মিলে আমাদের নির্বাচনী অঞ্চল হলো ১০ টি। এটিকে আমরা অঞ্চল হিসেবে ধরি। ব্যালট বাক্সগুলো অঞ্চলে যাচ্ছে, তারপর অন্যান্য মালামাল সরাসরি জেলায় যাবে।

নির্বাচনী বাজেটের বিষয়ে অশোক কুমার বলেন, ‘পরিচালনা বাজেট আছে ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরও বাজেট আছে। দুটি মিলে বাজেটটা হবে। এটি এখনো ফাইনাল হয়নি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সামনে আরেকটি মিটিং করব। ২৫ তারিখের পরে মিটিংটি করতে পারি। তারপর চূড়ান্ত করা হবে।’