বাংলাদেশের পটভূমিতে বঙ্গোপসাগরের সামরিক গুরুত্ব আসলে কতটা ?

প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২৩

বাংলাদেশের পটভূমিতে বঙ্গোপসাগরের সামরিক গুরুত্ব আসলে কতটা ?

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এক বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, গণতন্ত্র ও নির্বাচনের নাম করে তারা চায় যাতে করে ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ চালানো যায় এবং, তার ভাষায়, “এই অঞ্চলের দেশগুলোকে ধ্বংস করাই হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য।”

কিন্তু বঙ্গোপসাগর আসলেই সামরিক কৌশলগত দিক থেকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা কিনা তা নিয়েই রয়েছে বড় প্রশ্ন এবং বিতর্ক।

তবে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর বঙ্গোপসাগর ইস্যুটি আবারো নতুন করে আলোচনায় এসেছে। কিছুদিন আগে সেন্টমার্টিন দ্বীপ যুক্তরাষ্ট্র চায় – এমন আলোচনায় সরগরম ছিলো বাংলাদেশের রাজনীতি।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতর পরে বলেছে যে সেন্ট মার্টিন নিয়ে বাংলাদেশে যা বলা হয়েছে তা সঠিক নয় এবং এ দ্বীপটি নেয়ার বিষয়ে দেশটি কখনো কোনো আলোচনা করেনি।

এখন আবার বঙ্গোপসাগর ইস্যুটি আলোচনায় এলেও যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে কখনো এমন কোনো পরিকল্পনা বা আগ্রহের কথা প্রকাশ্যে শোনা যায়নি।

কোন কোন বিশ্লেষক বলছেন, এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ মালাক্কা প্রণালী পর্যন্ত, কারণ ওই প্রণালী দিয়েই চীনের ৯০ শতাংশ বাণিজ্য হয়ে থাকে।

আবার কেউ বলছেন, এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের মালাক্কা পর্যন্ত আগ্রহ থাকলেও এখন চীনের স্বার্থ ও আগ্রহের কারণে বঙ্গোপসাগরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে যুক্তরাষ্ট্র সেন্টমার্টিন বা বঙ্গোপসাগরে একটি সামরিক ঘাঁটি করতে চায়। যদিও এর কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা কখনোই দেখা যায়নি। এমনকি কূটনৈতিক পর্যায়েও এমন কোনো চেষ্টা দেখা যায়নি।

এমনকি ১৯৯১ সালে উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের পর বাংলাদেশের অনুরোধে উদ্ধার অভিযান ও মানবিক সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ‘অপারেশন সি এঞ্জেল’ পরিচালনা করতে এলে তখনও এ নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক দেখা দিয়েছিলো।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ