ব্রিটেনে তৃতীয় নারী, নাকি প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী?

প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২

ব্রিটেনে তৃতীয় নারী, নাকি প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী?

যুক্তরাজ্য সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম জানা যাবে। কারণ, কনজারভেটিভ দলের নতুন প্রধান কে হচ্ছেন, তা তখন জানা যাবে। বেশ কিছু কেলেংকারির কারণে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন বরিস জনসন। এরপরই কনজারভেটিভ দলের নতুন প্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটার ছিলেন কনজারভেটিভ দলের প্রায় দুই লাখ সদস্য।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। ৪৭ বছর বয়সি ট্রাস ও ৪২ বছর বয়সি সুনাক উভয়ই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।

প্রায় সব জরিপে লিজ ট্রাসের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। সেটি হলে তিনি হবেন ব্রিটেনের তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। আর ভারতীয় এক অভিবাসীর নাতি হচ্ছেন সুনাক। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে প্রথমবারের মতো অশ্বেতাঙ্গ কেউ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হবেন।

ট্রাসের পরিচয়

বামপন্থি পরিবারে জন্ম নেয়া ট্রাস প্রথমে লিবারেল ডেমোক্র্যাট ছিলেন। তবে ২০১০ সালে তিনি কনজারভেটিভ পার্টি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ট্রাস ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিলেন। তবে ব্রিটিশরা ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিলে তিনি দ্রুতই ব্রেক্সিটের কট্টর সমর্থক হয়ে উঠেছিলেন। এরপর ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লিজ ট্রাসকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে গড়া প্রতিনিধি দলের প্রধান করেছিলেন। গতবছর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ট্রাস।

লিজ ট্রাস যেসব পোশাক পরেন এবং ছবি তোলার জন্য যেসব জায়গা বেছে নেন, যেমন এস্তোনিয়ায় গিয়ে ট্যাঙ্কে এবং মস্কোয় গিয়ে পশমের টুপি পরে ছবি তোলা, ইত্যাদি কারণে অনেকে তাকে প্রথম নারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে তুলনা করেন।

সুনাক কে?

ভারতীয় অভিবাসীর ঘরে জন্মগ্রহণ করা সুনাকের মা-বাবার একজন চিকিৎসক, অন্যজন ফার্মাসিস্ট। তিনি সরকারি স্কুলে না গিয়ে বেসরকারি অভিজাত স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এরপর অক্সফোর্ডে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ডে পড়তে গিয়ে সুনাক তার ভবিষ্যৎ স্ত্রীর সঙ্গে পরিচিত হন। সুনাকের শ্বশুর ভারতীয় প্রযুক্তি জায়ান্ট ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা।

২০১৫ সালে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন সুনাক। অর্থমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিভিন্ন কেলেংকারির অভিযোগ এনে জনসনের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। জনসনের পদত্যাগের পেছনে সুনাকের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ আছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।