ভূমিকম্পের ঝুঁকিরোধেআগাম প্রস্তুতিরবিকল্প নেই

প্রকাশিত: ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩

ভূমিকম্পের ঝুঁকিরোধেআগাম প্রস্তুতিরবিকল্প নেই

পজিটিভ নেটওর্য়াক ইউএস:

গত শনিবার ( ০২ ডিসেম্বর ) সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান। ঢাকা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। উৎপত্তিস্থললক্ষ্মীপুরেররামগঞ্জ।

দেশযেভূমিকম্পেরঅতিঝুঁকিতেরয়েছেএযেনতা-ইস্মরণকরিয়েদিল। ছোটখাটো ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের আভাস দেয় চলতি বছরে দেশব্যাপী এ পর্যন্ত ১২টি হালকা ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানার তথ্য রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট এতটাই ঝুঁকিতে রয়েছে যে, রিখটার স্কেলে ৭ কিংবা এর বেশি মাত্রায় ভূমিকম্প হলে ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারে এ তিন নগরীতে। ধসে পড়তে পারে বহু ভবন। এজন্য বড় দুর্যোগের আগেভাগেই তারা প্রস্তুতির তাগিদ দিয়েছেন।

একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বড় ভূমিকম্প হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে জনবহুল রাজধানী ঢাকা। এখানে লক্ষাধিক বহুতল ভবন ধসে পড়তে পারে। পুরান ঢাকার উদাহরণ টেনেই বলা যায়, মারাত্মক ভূমিকম্প হলে এসব ঘিঞ্জি এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর কোনো সুযোগই থাকবে না। অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে ঢাকার পাশাপাশি সিলেট ও চট্টগ্রাম নগরীও পড়বে বড় ঝুঁকিতে। গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বড় ভূমিকম্প হওয়ার মতো দুটি উৎসরয়েছে।

এরএকটি হচ্ছে ডাউকি ফল্ট, অন্যটি সাবডাকশন জোন। সাবডাকশন জোনটি উত্তরে সিলেট থেকে দক্ষিণে কক্সবাজার-টেকনাফ পর্যন্ত। সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো এ সাবডাকশন জোন। এ জোনে ৮০০ থেকে হাজার বছরে কোনো বড় ভূমিকম্প হয়নি। এর দক্ষিণে টেকনাফ থেকে মিয়ানমার অংশে ১৭৬২ সালে ৮ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। সেই ভূমিকম্পে সেন্টমার্টিন ডুবন্ত দ্বীপ তিন মিটার ওপরে উঠে আসে। তাছাড়া সীতাকুণ্ড পাহাড়ে কাদাবালুর উদ্গিরণ হয়।

এ অবস্থায়, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি আগেই নিতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো এখনই ভূমিকম্প সহনীয় করতে হবে। ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা তৈরি করতে হবে। বিল্ডিং কোড আপডেট করতে হবে এবং তা মেনে ভবন তৈরিতে মানুষকে বাধ্য করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি এলাকায় স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গেও মানুষের পরিচয় থাকতে হবে। তাদের আরও বেশি বেশি দুর্যোগ মোকাবিলার ট্রেনিং দিতে হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতাও বাড়াতে হবে। ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার আগাম সতর্কতামূলক সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, এটাই প্রত্যাশা।