প্রার্থীরা যেন নিরাপত্তা ঘাটতিতে না ভোগে, মাঠপর্যায়ে ইসির নির্দেশ

প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২৩

প্রার্থীরা যেন নিরাপত্তা ঘাটতিতে না ভোগে, মাঠপর্যায়ে ইসির নির্দেশ

জাতীয় ডেস্ক:

প্রার্থীরা যেন নিরাপত্তা ঘাটতিতে না ভোগে মাঠপর্যায়ে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিরাপত্তা বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা ইতিমধ্যে মাঠপর্যায়ে ম্যাসেজ দিয়েছি। এটা পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের ও আমাদের রিটার্নিং অফিসারদের বলেছি। জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এসেছিলেন, সব বিষয়ে তাঁদের ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে। কেউ যেন নিরাপত্তার কোনো ঘাটতিতে না ভোগে। এরপরও যদি কারও গাফিলতিতে কিছু হয়, তাঁর বিরুদ্ধে ইসি স্ট্রং ব্যবস্থা নেবে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কতগুলো দল অংশ নিচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিবন্ধিত যে ৪৪টি রাজনৈতিক দল আছে, তার মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ২ হাজার ৭১২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনে ৩০৪ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছে।’

ওসি ও ইউএনওদের রদবদলের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনাররা গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় এবং অঞ্চল পর্যায়ে সফর করেছেন, তাদের যে ফাইন্ডিংস, তার ভিত্তিতে কমিশন বসে গত ৩০ নভেম্বর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কেন এই সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের কাছে মাঠপর্যায় থেকে যে তথ্য তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন অনুভব করেছে, এ বদলি দরকার।

কী ধরনের তথ্য—এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, সব তথ্যতো ওপেনলি বলা হয় না। নির্বাচন কমিশনারেরা মাঠপর্যায় থেকে যেসব তথ্য পেয়েছে, বিভিন্ন প্রার্থী কিংবা বিভিন্ন কোয়ার্টার থেকে যে তথ্য এসেছে, এর ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত। তাঁরা মনে করেছে যে, বদলি করা প্রয়োজন।

কোনো এক নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, বড় আকারে রদবদল করা হলে পুলিশ-প্রশাসনে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে, এর দায়ভার ইসি কেন নেবে? আর একটা কথা বলেছিলেন, ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘১০০ কোটি টাকা কেন ব্যয় হবে? তাহলে ওই কমিশনারের কাছে জানতে চাইতে হবে। এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। কমিশনে যেসব সিদ্ধান্ত হয় সেগুলো আমি বলতে পারব।’

ডিসি-এসপিদের বদলির কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই। পরবর্তীতে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয়, তখন বলতে পারব। যদি নির্বাচন কমিশন বসে কোনো সিদ্ধান্ত নেন, সে ক্ষেত্রে এটা হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না।’

রদবদলের ক্ষেত্রে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ আছে কিনা, এমন প্রশ্নে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘আমি মনে করি নেই। একজন কর্মচারী যে উপজেলা বা জেলায় দায়িত্ব পালন করুক না কেন, তিনি সুষ্ঠুভাবেই দায়িত্ব পালন করবেন।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ