আল কায়েদার সঙ্গে যোগসূত্র: ভারতে ৪ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট

প্রকাশিত: ৬:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২৩

আল কায়েদার সঙ্গে যোগসূত্র: ভারতে ৪ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট

নিউজ ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতে চার বাংলাদেশির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

ভারতের গুজরাট রাজ্যের একটি বিশেষ আদালতে শুক্রবার ( ১০ নভেম্বর ) এ অভিযোগপত্র দেয় দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। তাঁদের বিরুদ্ধে আল কায়েদার সঙ্গে যোগসূত্র এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনআইএর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অমিত নায়ার বিশেষ আদালতের বিচারক কমল সোজিত্রার আদালতে মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার লক্ষ্যে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত ভিত্তিক আল কায়েদা নেতাদের একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছে এনআইএ।

গত মে মাসে গুজরাট অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) আল কায়েদার একটি গ্রুপকে শনাক্ত করে এবং বাংলাদেশের চার নাগরিককে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা জাল নথিপত্র ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশ করার পরে আহমেদাবাদে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন।

এটিএসের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, এই চার ব্যক্তি বাংলাদেশেই প্রশিক্ষণ নেন, এরপর তাঁদের আল কায়েদার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য তহবিল সংগ্রহ ও স্থানীয় তরুণদের উগ্রবাদী মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করে সংগঠনে টানতে ভারতে পাঠানো হয়।

সরকারি বিবৃতির বরাত দিয়ে পিটিআই–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক যোগসূত্র বিবেচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত জুনে মামলাটি এনআইএ–তে স্থানান্তর করে।

এনআইএ গত জুনে মামলা নথিভুক্ত করে। অভিযোগপত্রে আসামিরা হলেন—মোহাম্মদ সজিব মিয়া, মুন্না খালিদ আনসারি ওরফে মুন্না খান, জাহাঙ্গীর ওরফে আজহারুল ইসলাম, আবদুল লতিফ ওরফে মমিনুল আনসারী ও ফরিদ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সজিব মিয়া, মুন্না খান, জাহাঙ্গীর এবং আবদুল লতিফ বাংলাদেশের নাগরিক, তাঁরা ভারতে থেকে গোপনে কাজ করতেন এবং সন্ত্রাসী এজেন্ডা এগিয়ে নিতে জাল নথি সংগ্রহ করেছেন।

এনআইএর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই গ্রেপ্তারকৃতদের মূল হোতাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এনআইএ একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ বাংলাদেশকে পাঠিয়েছে।