ডেঙ্গু রোগীর চাপ কমছে হাসপাতালগুলোতে

প্রকাশিত: ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০২৩

ডেঙ্গু রোগীর চাপ কমছে হাসপাতালগুলোতে

নিউজ ডেস্কঃ সারাদেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। তবে রোগী ভর্তির তুলনায় সুস্থতার হার বেশি হওয়াও হাসপাতালে চাপ কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বুধবার (১৬ আগস্ট) অধিদফতরের সভাকক্ষ থেকে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিলেন ১ হাজার ৯৮৪ জন। এর মধ্যে ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছে। এ সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে ২ হাজার ২৮৮ জন। গত কয়েকদিনে ভর্তির তুলনায় রোগী সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। এই মূহুর্তে হাসপাতালে রোগীর চাপ কিছুটা কম।

ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে মোট শয্যার সংখ্যা ২ হাজার ৬২৫টি। এসব শয্যায় বর্তমানে রোগী ভর্তি আছে ১ হাজার ৮৯০ জন, খালি শয্যার সংখ্যা ৯৫৬টি। শয্যা ব্যবহারের হার ৭২ শতাংশ, আর খালি আছে ২৮ শতাংশ শয্যা।

রোগী পরিস্থিতি তুলে ধরে জানানো হয়, জুলাইয়ে ডেঙ্গু রোগী ছিল ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন। অপরদিকে চলতি আগস্টের ১৬ তারিখ পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ৩৮ হাজার। এ বছর মোট রোগী ৮৯ হজার ৮৭৫ জন, এর মধ্যে ৪২৬ জন মারা গেছেন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৯ হাজার ১১৭ জন। ভর্তি রোগীদের সর্বাধিক ৭৪ শতাংশ রোগীর বয়স ২০ থেকে ৪০ বছর । ৫ বছরের নিচের শিশু আক্রান্তের হার ৬ শতাংশ, ষাটোর্ধ্ব রোগী ৫ শতাংশ। পুরুষ ও নারী রোগীর রেসিং বিবেচনায় ৬৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ শতাংশ নারী।

এতে আরও বলা হয়, ঢাকা সিটি করপোরেশনের বাইরে সারাদেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের হার ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, টাঙ্গাইল ও নরসিংদী জেলায়। বরিশাল বিভাগে বরিশাল, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর জেলায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায়।

ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের ঘাটতি নেই জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডেঙ্গু পরীক্ষার এনএস-১ কিটের পর্যাপ্ত সংখ্যক মজুদ স্বাস্থ্য অধিদফতরে রয়েছে। পাশাপাশি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারা দ্রুততম সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী কোটেশনের মাধ্যমে ক্রয় করতে পারবে। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পরীক্ষার খরচ এক রেট নির্ধারণ করে সরকারিতে ৫০ টাকা ও বেসরকারিতে ৩০০ টাকা বহাল রাখা হয়েছে।

স্যালাইন সংকট বিষয়ে অধিদফতর জানায়, গণমাধ্যমের মাধ্যমে আইভি ফ্লুইডের সংকটের বিষয়ে জানতে পেরেছি। তবে সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সেখানে সংকট নেই। বেসরকারি হাসপাতালে যারা ভর্তি রয়েছেন, তারা হয়তো ফার্মেসিতে ঠিকমতো স্যালাইন পাচ্ছে না। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ